জুমবাংলা ডেস্ক : ওমান যাবেন নোয়াখালীর মো. রাসেল। হাতে থাকা ওমানের বিমান সংস্থা সালাম এয়ারের টিকিটে ফ্লাইটের সময় দেওয়া আছে ১০ আগস্ট দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। সময়মতোই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন রাসেল।
কিন্তু তিনি যেতে পারেননি। কারণ রাসেল যে বিমান কোম্পানির টিকিট কিনেছিলেন, দুপুর দেড়টায় সেটির কোনো ফ্লাইটই ছিল না। অথচ তার কাছে টিকিট বিক্রি করে কোম্পানিটির একটি এজেন্সি। বিপাকে পড়া রাসেল যোগ দেন বিমানবন্দরে আয়োজিত গণশুনানিতে। এ বিষয়ে সেখানে সালাম এয়ারের প্রতিনিধির কাছে ব্যাখা চান গণশুনানির প্রধান অতিথি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
সালাম এয়ারের ওই প্রতিনিধি জানান, তাদের ফ্লাইট ঢাকায় আসে ভোর ৫টায়, চলে যায় পৌনে ছয়টায়। রাসেল যে টিকিট কেটেছেন সেটি দেশের বাইরে থেকে কনফার্ম করা। সেখানে যোগাযোগ করলে তিনি সমাধান পাবেন। পরে বেবিচক চেয়ারম্যান সেই প্রতিনিধিকে যাত্রীর টিকিট দেখার পরামর্শ দেন। সেই টিকিটে ফ্লাইটের সময় উল্লেখ করা দুপুর দেড়টা। বিমান সংস্থার প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, কাগজপত্র রাখেন। এ এজেন্সির বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়ে আমাদের জানাবেন। সেই এজেন্সি যে দেশের হোক, সে দেশের সিভিল এভিয়েশনকে আমি জানাব যে, তোমার দেশের এজেন্সি আমার দেশের যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে।
যাত্রীদের সঙ্গে বিমানবন্দর কর্মীরা যেন ভালো ব্যবহার করেন সে জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স চালুর কথাও জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে কেউ এখানে চাকরি করতে পারবে না। বিমানবন্দরে ভবিষ্যতে যেসব স্টেকহোল্ডার কাজ করবে, তাদের প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হবে। ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, পুলিশ সবাই এর আওতায় থাকবে।
প্রবাসীদের উদ্দেশে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, অপরিচিত কারও থেকে লাগেজ বা ব্যাগ নেবেন না। যদি নেন তা হলে নিশ্চিত হয়ে নেবেন ভেতরে কী আছে। কারণ এর পুরো দায় আপনাকে নিতে হবে। আপনার আত্মীয় দিয়েছে, এটা আইন শুনবে না। আমাদের এখানে সিকিউরিটি সিস্টেম ভালো করা হয়েছে। অনৈতিক কাজের সঙ্গে কেউ জড়িয়ে পড়লে ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেশের বাইরে থেকে বিমানবন্দরে নামার পর গাড়ি ভাড়ায় ভোগান্তি, স্বাভাবিক ভাড়ার দ্বিগুণ বা তিন গুণ দাবি করার যে সমস্যা, সেটি নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন বেবিচক চেয়ারম্যান। জবাবে তিনি প্রবাসী যাত্রীদের জন্য শাটল বাস চালুর ঘোষণা দেন।
মফিদুর রহমান বলেন, প্রবাসী ভাইয়েরা অনেক প্রতারিত হন পরিবহন সেক্টরের কাছে। আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা শাটল বাসের ব্যবস্থা করব। আশা করছি দ্রুত হয়ে যাবে। এ বাস কোথায় যাবে সেটিও জানান বেবিচক প্রধান। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে এ বাস চলে যাবে উত্তরার দিকে। ওখানে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াবে। পরে দাঁড়াবে রেলওয়ে স্টেশনের সামনে। এতে যাত্রীরা আর জিম্মি হবেন না।
ফিচার ফোনে পাবেন অ্যান্ড্রয়েড-১২, থাকছে সেলফি ক্যামেরাসহ টাচস্ক্রিনও
বিমানের কাছে বেবিচকের পাওনা কীভাবে আদায় করবেন জানতে চাইলে মফিদুর রহমান বলেন, তাদের যে বকেয়া আছে তারা আস্তে আস্তে পরিশোধ করে দেবে। নতুন দুই এয়ারলাইনসের অগ্রগতি প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের যদি চালু করতে হয় ঢাকার বাইরে থেকে চালু করতে হবে। তবে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল হয়ে গেলে পরে তারা ঢাকা থেকে ফ্লাইট চালু করতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।