আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চিতাগুলির কথা মাথায় রেখে উড়ানের ভিতরেও রয়েছে কিছু বিশেষ সুবিধা। বিমানটির ছবি টুইটারে পোস্ট করেছে ভারতীয় হাইকমিশন। ১৭ সেপ্টেম্বর ৮টি চিতা ভারতে আনা হবে। সেগুলিকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে রাখা হবে হবে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
এদেশের মাটিতে পা পড়তে চলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণীর। রীতিমত রাজকীয়ভাবেই নিয়ে আসা হচ্ছে তাদের। এর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জাম্বো জেট। শুধু তাই নয়, বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে ওই বিমানটিকে। উড়ানের সামনের অংশটি সেজে উঠেছে বনের রাজার মুখের আদলে। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় খুশি পশুপ্রেমীরা। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হবে ৮টি চিতাকে। তার জন্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন।
নামিবিয়া থেকে চিতাগুলিকে ভারতে নিয়ে আসতে বুধবারই সেখানে পৌঁছে যায় বিশেষ বিমান। সেই ছবি পোস্ট করে টুইট করে ভারতীয় হাইকমিশন। সেখানে দেখা গিয়েছে, চিতাগুলিকে আনতে বি৭৪৭ জাম্বো জেট পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। এই বিমানটির মুখের অংশটিকেই বাঘের মুখের আদলে সাজানো হয়েছে। “ব্যাঘ্রভূমিতে সৌভাগ্য়ের স্বপ্ন নিয়ে অবতরণ করেছে বিশেষ পাখি,” বিমানটি অবতরণ করতে না করতেই তা নিয়ে টুইট করে ভারতীয় হাইকমিশন। উল্লেখ্য, এবার ৮টি চিতা নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫টি মহিলা ও ৩টি পুরুষ চিতা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন।
আফ্রিকা থেকে ভারত – এই দীর্ঘযাত্রা পথে চিতাগুলির যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্যেও বিমানে রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। হাই কমিশন সূত্রে খবর, বিমানটির ভিতরের অংশে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। ফলে খাঁচার ভিতরে থাকলেও চিতাগুলির নড়াচড়া করতে কোনও অসুবিধা হবে না। পাশাপাশি, এই বিমানে তাদের যাত্রার ধকলও পড়বে কম। কারণ এই জাম্বো জেট একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়ে চলে আসতে পারবে ভারত। মাঝে পথে কোথাও বিমানটি থামবে না। এমনকি মাঝ আকাশে এর জ্বালানি ভরারও প্রয়োজন হবে না বলে হাইকমিশন অফিস সূত্রে খবর।
তবে খালি পেটেই দীর্ঘপথ আসতে হবে চিতাগুলিকে। পশু চিকিৎসকদের দাবি, ভরা পেটে বিমানে এতটা দীর্ঘপথ উড়ানে পাড়ি দেওয়া চিতাগুলির পথে মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। সেটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিতাগুলিকে রাজস্থানের জয়পুর নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। একটা সময় ভারতে চিতা পাওয়া গেলেও স্বাধীনতার পর এই প্রাণীটি ধীরে ধীরে সম্পূর্ণভাবে অবলুপ্ত হয়ে যায়।
পৃথিবী ছাড়াও দুইটি গ্রহে বেঁচে থাকা সম্ভব, বিজ্ঞানীদের দাবিতে তোলপাড়
তার পর থেকেই ফের ভারতের মাটিতে চিতা নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল নয়াদিল্লি। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত ভারতে চিতা দিতে রাজি রয়েছে নামিবিয়া। সেই মতো আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর এদেশের মাটিতে পা দেবে চিতাগুলি। আর মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে সেগুলিকে ছেড়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।