জুমবাংলা ডেস্ক : উচ্চ সুদের হার, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা চলছে। এর ফলে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। আর তলানিতে এসে ঠেকেছে শিল্পোৎপাদন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রায় তরুণদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির চাহিদার মধ্যে নানামুখী সংকটে জর্জরিত উদ্যোক্তারা।
তাঁরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত না হওয়ায় নতুন বিনিয়োগে আস্থা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে নীতি সুদহার বাড়ানোয় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকঋণের সুদহারও। এতে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা।
তাঁরা বলছেন, অতিরিক্ত সুদের চাপে কমতে পারে বিনিয়োগ, কমবে কর্মসংস্থানও।
চলমান অস্থিরতায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের বিক্রিতেও ধস নেমেছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, ভয়াবহ করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে মাজা সোজা করে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দামে উল্লম্ফনে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বোঝা এখনো বয়ে চলেছে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ। গত বছরের প্রথম দিকে যুদ্ধের প্রভাবে কাঁচামাল আমদানিতে সংকট দেখা দেয়।
এরপর ডলার সাশ্রয়ে আসে আমদানিতে কড়াকড়ি। সময়মতো এলসি করতে না পারা, জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে কারখানার উৎপাদন নেমেছে শূন্যের কোঠায়। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বন্ধ ছিল। কারখানায় বিক্ষোভ, হামলা-মামলার কারণে ভারী শিল্প, পোশাক ও টেক্সটাইল খাত মারাত্মক সংকটের মধ্যে পড়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে। এসব সংকটের কারণে অর্থনীতিতে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বৈদেশিক দায়দেনার পরিমাণ বেড়ে গেছে, বেড়েছে আমদানি খরচও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত সরকারের শেষ দিকে নানা কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির ছিল, নতুন সরকার আসার পর প্রত্যাশা ছিল ব্যবসায় গতি আসবে, তার আগেই শিল্প-কারখানায় হামলা-ভাঙচুর, ব্যবসায়ীদের নামে হত্যা মামলা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আশাহত হয়েছেন। নতুন বিনিয়োগ থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে যাঁরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, তাঁরাই নিগৃহীত ছিলেন। বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দরকার বিনিয়োগ, কিন্তু দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। বিনিয়োগকারীরা এখন চতুর্মুখী বিপদের সম্মুখীন।’
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক ঋণের ৯ শতাংশ সুদ বেড়ে এখন ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এত সুদ দিয়ে ব্যবসা টেকসই করা কষ্টসাধ্য। তারপর ঋণখেলাপির বিধি পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন কিস্তি না দিলে ৯০ দিন পর খেলাপি ঘোষণা করা হবে। এতে আমরা শঙ্কিত। সুদহার বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদা মতো জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না।’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘কেউ বিনিয়োগ যখন করতে যায় একটি দেশে, তখন তিনি প্রথমেই নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেন। যখন কেউ নিরাপদ মনে করবেন না তখন কেন তিনি অর্থ বিনিয়োগ করবেন। অতি দ্রুত আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত।’ পরিচালন ব্যয় বেড়েছে ৩০ শতাংশ
তথ্য-উপাত্ত বলছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা-উদ্যোগে পরিচালন ব্যয় বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ব্যাংকঋণের সুদহার দফায় দফায় বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। প্রায় আড়াই বছর ধরে অব্যাহত সংকটের কারণে ডলারের দরও বেড়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। এতে আমদানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এতে শিল্পে উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। এসবের প্রভাবে ব্যয়বহুল হয়েছে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বিভিন্ন রেগুলেটরি সংস্থার ভুলনীতি এবং সময়-অসময়ে দেওয়া বিভিন্ন সার্কুলার অনেক উদ্যোক্তাকে ঋণখেলাপিতে পরিণত করেছে। তাই স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি নয়; বরং সরকারের নীতিমালার জন্য খেলাপি হয়েছেন—এমন উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রাখার দাবি উঠেছে। অন্যথায় সামনে দেশের কর্মসংস্থানসহ অর্থনীতিতে স্থবিরতা দীর্ঘায়িত হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
তবে যেসব ভালো ব্যবসায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুলনীতি, ডলারসংকট, কভিড-পরবর্তী সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি, একই সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা এবং নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের টিকে থাকার জন্য নীতি সহায়তা এবং টিকে থাকতে না পারলে ব্যবসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার নীতি সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করেন, এরই মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ডলারসংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানি করতে পারেননি। ফলে সময়মতো পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় ক্রেতাদের হ্রাসকৃত মূল্যে পণ্য দিতে হয়েছে। সময়মতো জাহাজীকরণ করতে না পারায় ক্রেতারা পণ্য নেননি। এসব ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছেন না।
আগস্ট-সেপ্টেম্বর টানা দুই মাস সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী ও গাজীপুরের পুরো শিল্পাঞ্চলে চরম অস্থিরতা ছিল। অক্টোবরে এসে বড় পরিসরের অস্থিরতা থামলেও মাঝেমধ্যেই ঘটছে সহিংসতা। বিদেশি ক্রেতারা উদ্বেগ জানাচ্ছে, ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে নতুন রপ্তানি আদেশ অন্য দেশে সরিয়ে নিচ্ছেন। বাংলাদেশে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে রপ্তানি বাড়ছে প্রতিযোগী দেশগুলোর।
শুধু ঢাকার আশপাশের কারখানায় নয়, ঢাকার বাইরের কারখানাগুলোতেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে নাটোরে প্রাণ অ্যাগ্রো কম্পানির কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। কারখানাটিতে পাঁচ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। কর্তৃপক্ষ বলেছে, সরকার নির্ধারিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী কম্পানি বেতন দিচ্ছে। এ ছাড়া জুলাই মাসে শ্রমিকদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে।
শিল্পাঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সিইও আহসান খান চৌধুরী ঢাকা চেম্বারের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আমরা কষ্টে আছি। আজ আমার কারখানায় যেতে ভয় লাগে। ভয় লাগে এ জন্য যে, আমি কী নিজের জীবন নিয়ে বের হয়ে আসতে পারব? এভাবে ব্যবসায়ীরা যদি নিজেদের কারখানায় যেতে শঙ্কিত হন, তাহলে তাঁরা আগামী দিনে ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না।’বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৮.৮ শতাংশ
এদিকে দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগেও ভাটা পড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় পরের অর্থবছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৮.৮০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে নিট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১.৪৭ বিলিয়ন ডলার, ২০২৩ অর্থবছর শেষে যা ছিল ১.৬১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১৪২ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি এসেছে বস্ত্র খাতে। পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংকিং, ওষুধ ও জ্বালানি খাত।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ডলারসংকটের কারণে বাংলাদেশের ব্যক্তি খাত এখন দেশের বাইরে বিনিয়োগ করার মতো জুতসই অবস্থানে নেই। আইন ও নীতির ধারাবাহিকতার অভাব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। বিনিয়োগ আকর্ষণে শুধু প্রণোদনা দিলে হবে না, প্রয়োজনীয় সংস্কারও করতে হবে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নীতি সুদহার বাড়িয়ে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ঋণের সুদহার ১৫ শতাংশ ছুঁয়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ কমা ও বেসরকারি বিনিয়োগে মন্দার মধ্যে নতুন করে নীতি সুদহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। এ নিয়ে চলতি বছর পঞ্চমবারের মতো ও গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সময়ে তৃতীয়বারের মতো নীতি সুদহার বা পলিসি রেট বাড়ানো হলো।
দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি প্রায় ৮০ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতনির্ভর। ৭০ শতাংশ মানুষ ব্যাংক খাতের বাইরে। শিল্পের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কাঁচামালে বিপুল ভর্তুকি দিতে হয়। এ ছাড়া বেশির ভাগ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। এমন কাঠামোর অর্থনীতির দেশে নীতি সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ব্যবসায় প্রতিযোগী সক্ষমতা হারাবে। বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়বে। কর্মসংস্থানে ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি উল্টো মূল্যস্ফীতি বাড়বে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩.৭১ শতাংশ কম। এমনকি এই সময় প্রাথমিক কাঁচামাল আমদানি কমেছে ৯.৮১ শতাংশ।
বৈশ্বিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিদায়ি অর্থবছরে শিল্প উৎপাদনে ধস নেমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে শিল্প উৎপাদনে যেখানে ১০.১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সেখানে গত অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩.৯৮ শতাংশ। আগের বছরের চেয়ে গত অর্থবছরে শিল্প উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে দেশের শিল্পোৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৫.৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা কভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকে সর্বনিম্ন। গত বছর এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.৩৭ শতাংশ।
এর আগের দুই অর্থবছরে শিল্পোৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৯.৮৬ শতাংশ ও ১০.২৯ শতাংশ। সেই বিবেচনায় চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধিতে তীব্র পতন দেখা যাচ্ছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১১.৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পর করোনা মহামারির কারণে লম্বা সময় ধরে লকডাউনের ফলে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি নেমে আসে ৩.৬১ শতাংশে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ঘুরে দাঁড়িয়ে শিল্প খাতে ১০.২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরের বছর থেকেই এ খাতে প্রবৃদ্ধি কমছে। এ হিসাবে শিল্প খাতে চলতি অর্থবছরে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি।
শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি কমে আসার পেছনে বিনিয়োগ পরিবেশের অভাবকে দায়ী করছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ কমে আসার বিপরীতে দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকটের মধ্যেই সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যক্তি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের প্রয়োজনীয় ঋণ পাচ্ছেন না।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়ছে। আমাদের রিজার্ভও বাড়ছে, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে সব কিছু করা সম্ভব নয়। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ হোক, কাল হোক, রাষ্ট্রক্ষমতায় রাজনৈতিক সরকার আসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘খাদ্য, জ্বালানি, সার ও কীটনাশক খাতকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এসব খাতে বেসরকারি খাতের জন্য সরকারের সহযোগিতা থাকবে। আমরা বেসরকারি খাতের উন্নয়নের চেষ্টা করছি
মাসুদ রুমী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।