লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার ক্রমেই নিম্নগামী। তাইতো বর্তমান যুবক-যুবতীরা অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ব্যবসার পথ। সকলেই করতে চাইছেন নিজের ব্যবসা। তবে পুঁজি ও অভিজ্ঞতার অভাবে অনেকেই পিছিয়ে আসছেন মাঝ পথ থেকে। কিন্তু এমন কিছু ব্যবসা আছে, যেখানে অল্প টাকা বিনিয়োগ করেই শুরু করতে পারেন আপনি। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমনই এক ব্যবসার সন্ধান দেব আপনাদের।
বিশেষ এই ব্যবসা হল ডিজেলের ব্যবসা। অনেকেই ভাববেন এ আর নতুন কি পেট্রোল পাম্পের ব্যবসা সকলেই জানে। এটি করতে প্রয়োজন হয় মোটা অর্থের। তবে এই ব্যবসা ডিজেলের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও এর জন্য আপনাকে পেট্রল পাম্প খুলতে হবে না। এই ব্যবসায় আপনি চাষ করতে পারেন এক ধরনের বিশেষ ডিজেল ফসল। আসলে পেট্রোল এবং ডিজেল জীবাশ্ম জ্বালানি হলেও, আরেক ধরণের বিশেষ জৈব ডিজেল রয়েছে যার উৎপত্তি ঘটে গাছ থেকেই। আসুন এবারে জেনে নিই বিশেষ এই ডিজেল গাছ সম্পর্কে সব খুঁটিনাটি তথ্য।
বিশেষ এই ডিজেল গাছটি হল জেট্রোফা গাছ। বিশেষ এই গাছের বীজ থেকে বায়ো ডিজেল পাওয়া যায়। এমতবস্থায় এর উৎপাদন থেকে ভাল আয় করা সম্ভব। তাই চলতি ভাষায় জেট্রোফাকে ‘ডিজেল প্ল্যান্ট’-ও বলা হয়। বিশেষ বিষয় হল, এই গাছ অনুর্বর জমিতে এমনকী যে কোনও জায়গায় চাষ করা সম্ভব। আসুন এবারে জেনে নিই কি উপায়ে এর থেকে ডিজেল তৈরি করা সম্ভব।
এর জন্য প্রথমেই আপনাকে উর্বর, অনুর্বর যে কোনো জমিতে এই গাছের বীজ বপন করতে হবে। এরপর এই জেট্রোফা গাছকে চাষ করতে হবে। এর জন্য খুব বেশি লাঙল, সেচ ও অর্থের প্রয়োজন হয় না। এর বীজও বাজারে বেশ সহজলভ্য। একবার এই গাছটি বপন করা হলে প্রথম ৪ থেকে ৬ মাসই প্রয়োজন হয় এই গাছ যত্নের। এরপর যখন গাছ হয়, তখন এটি বছরের পর বছর ধরে বীজ দিতে থাকে।
আর এই বীজ থেকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ তেল বের করা যায়। এরপর এই জেট্রোফা বীজ থেকে প্রাপ্ত তেলের প্রায় ১৮ শতাংশের সঙ্গে প্রকৃত ডিজেল মিশিয়ে তৈরি করা হয় ‘বায়ো ডিজেল’। বিশেষ এই বায়োডিজেল হল প্রচলিত বা ‘জীবাশ্ম’ জ্বালানির বিকল্প জ্বালানি। বায়ো ডিজেল সরাসরি উদ্ভিজ্জ তেল, পশুর চর্বি, তেল এবং বর্জ্য রান্নার তেল থেকে তৈরি করা যেতে পারে। এই বায়োডিজেল এক দিকে যেমন পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকারক নয় তেমনি অন্যদিকে এর চাহিদাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই এই চাষ কর আপনি দেশ তথা দেশের বাইরে থেকেও করতে পারবেন মোটা টাকা ইনকাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।