ধর্ম ডেস্ক : পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা বান্দাদের তাঁর অভিমুখী হওয়ার জন্য পরীক্ষা করেন কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, জানমালের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। এই ক্ষতিতে যারা ধৈর্যশীল থাকবে, তাদের সুসংবাদ দিয়েছেন (বাকারা-১৫৫) আল্লাহ আরও বলেছেন : নিশ্চয় কষ্টের সঙ্গে স্বস্তি রয়েছে (ইনশিরাক-৬)। কাজেই কোনো মুমিনের বিপদে ধৈর্যহারা উচিত নয়, কারণ সবচেয়ে বেশি কঠিন পরীক্ষা নবীদের ওপর তারপর ক্রমান্বয়ে স্তর অনুযায়ী (বুখারি-৫২৩৬)।
নবী করিম (সা.) বলেন : আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে বিপদে পতিত করেন (বুখারি-৫২৩৫)। যখন আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য ভালো ইচ্ছা পোষণ করেন তখন তাকে শাস্তি দেন দুনিয়ায় আর যদি তার জন্য খারাপ ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে তিনি ওই বান্দার পাপের শাস্তি আটকে রাখেন কিয়ামতের দিন না আসা পর্যন্ত।
সব বিষয় আল্লাহ আজ্জাওজাল্লাহর হাতে এবং তাঁর ইচ্ছার ওপর। অতএব সব বিষয়ই আল্লাহর হাতে এবং মানুষ মুক্ত নয় ভুল হতে, পাপ হতে এবং ওয়াজিব কাজকর্ম করা থেকে। তাই আল্লাহ তাঁর যে বান্দার ভালো চান তার শাস্তি দ্রুত দিয়ে দেবেন দুনিয়াতেই। কাজেই যখন শাস্তি দ্রুত দেওয়া হয়, তার সম্পদের মাধ্যমে অথবা তার সঙ্গে সম্পর্কিত কারও মাধ্যমে আসল কথা হচ্ছে, তার শাস্তি ত্বরান্বিত হবে; কারণ শাস্তি পাপকে মুছে ফেলে। কাজেই যখন শাস্তি দ্রুত দেওয়া হয়, তখন আল্লাহ এর জন্য তাকে মাফ করে দেন এবং শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তি বিনীত হয় তাহলে তার কোনো পাপ থাকবে না। তাকে পবিত্র করা হয় এসব কষ্ট দিয়ে এমনকি তার মৃত্যুকেও কঠিন করা হয় না। তার অবশিষ্ট দু-একটি পাপের কারণে যতক্ষণ না একদম নিষ্পাপ হয়ে দুনিয়া ত্যাগ করে।
তাই বিপদ-আপদ একটা নিয়ামত। কারণ দুনিয়ার শাস্তি পরকালের শাস্তির সঙ্গে বিন্দুমাত্র তুলনাযোগ্য নয়। কিন্তু যদি আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য খারাপ চান, তবে তাকে অবকাশ দেন এবং পৃথিবীর নিয়ামত দিয়ে ঘায়েল করেন। তাকে আরও সুযোগ দিতে থাকেন, যাতে সে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরে যায়। বান্দা সম্পদ প্রাপ্তিতে এবং অনাচারে আচ্ছাদিত হয়ে মনে করে আল্লাহ তার ওপর খুশি কিন্তু সে উপলব্ধি করতে পারে না, যেদিন তার রবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, সে নিমজ্জিত এসব পাপের কারণে কঠোরতম শাস্তি ভোগ করবে।
ইন্টারনেটের দাম কমানোর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা নাহিদ
কাজেই আমরা যদি ওই ধরনের ব্যক্তিদের দেখি, আল্লাহ তাকে দুনিয়ায় বিপদ থেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এবং নিয়ামত দিয়ে তুষ্ট করেছেন, তাহলে আমরা যেন ভাবি ওই বান্দাকে আল্লাহ নিয়ামত দিয়ে আঘাত করছেন। কেন? কারণ আল্লাহ তার শাস্তি বিলম্বিত করছেন কিয়ামতের দিন না আসা পর্যন্ত। অপর এক হাদিসে উল্লেখ আছে, দুনিয়ায় বালামুছিবত এবং কষ্টে নিপতিত ব্যক্তিদের পুরস্কারের মাত্রা নির্ধারিত হয় কষ্টের পরিমাপের ওপর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।