লাইফস্টাইল ডেস্ক : যন্ত্রের শহরে ইদানীং পৌষ্যপ্রেম বেড়েছে। না বেড়ে উপায়ও নেই। বাড়ির ছোট্ট সদস্যের খেলার সঙ্গীর যে বড় অভাব। তাই একটা বিড়াল যদি সে পায় তাহলেতো বেজায় খুশি। বিড়াল পালার ঝক্কিও কম তাই সবার আগ্রহ এই পৌষ্যে। কিন্তু আপনার আদুরে প্রাণীটি যদি কামড়ে দেয়! কী করবেন তখন? কামড়ানোর ধরণ বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিড়ালের আঁচড় বা কামড়ের ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানের গভীরতা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। আঁচড়ের ফলে যদি রক্তপাত হয়, তাহলে রক্তের সঙ্গে জীবাণুর সংস্পর্শ ঘটে। তখন টিকা নেয়া এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের দরকার হয়। বিড়াল আঁচড় দিলে কিংবা কামড় দিলে কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ দিয়েছেন।
১. ক্ষত: বিড়াল যদি আঁচড় দেয় কিন্তু রক্ত না বের হয় তবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আঁচড় দিলে জীবাণুনাশক দিয়ে ক্ষতস্থানটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্ষত গভীর হলে বা অতিরিক্ত রক্তপাতে অবহেলা করবেন না।
২. সাবান পানি: জলাতঙ্ক বা র্যাবিস ভাইরাস জীবাণু রোধে সবচেয়ে কার্যকর হলো সাবান পানি। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক সল্যুশন এই জীবাণু ধ্বংস করতে পারে না। তাই ক্ষত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে জীবাণু সংক্রমিত হবে না। চিকিৎসকের কাছে না গেলেও চলবে।
৩. অ্যান্টিবায়োটিক: বিড়াল কামড়ালে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে তরল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্যাভলন ও ডেটল বেশি কার্যকর। এরপর রক্তপাত বন্ধ করতে ব্যান্ড এইড বা গজ ব্যবহার করতে পারেন।
৪. রক্তপাত হলে: বিড়াল কামড় রক্তপাত হলে তা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যান্ড এইড লাগিয়ে নিন। কারণ বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতস্থানে ধনুষ্টঙ্কারের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। কোনরকম মলম বা ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।
৫. সংক্রমণ: ক্ষত গভীর না হলেও অনেক সময় জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। ফলে হালকা ক্ষত দেখে অবহেলা করবেন না। দেখুন ক্ষতস্থান ফুলে গেছে কি না। এ ছাড়া লাল হয়ে গেলে, রক্তপাত বন্ধ না হলে বা তীব্র ব্যথা করলে বুঝবেন জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে। তখন দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৬. জ্বর: বিড়াল কামড়ানোর পর জ্বর এলে বুঝতে হবে এটা বিপদের চিহ্ন। অনেক সময় আঁচড় দিলে বয়স্কদের জ্বর আসে না তবে ছোটদের জ্বর আসতে পারে। এটাকে বলে ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ। জ্বর আসা, ফোসকা পড়া, পিঠ বা পেটব্যথার মতো লক্ষণ দেখলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
যে বিড়ালটি আপনাকে কামড়েছে সেটি র্যাবিশে আক্রান্ত কি না, বোঝার জন্য কতগুলো লক্ষণ আছে। বিড়ালের আচরণে পরিবর্তন আসবে, আগ্রাসী হয়ে উঠবে। ঘন ঘন শ্বাস নেবে, মুখ দিয়ে লালা ঝরা বা গলার স্বরে পরিবর্তন আসবে। এসব দেখলে বুঝবেন বিড়াল র্যাবিশে আক্রান্ত। র্যাবিশে আক্রান্ত বিড়াল সাধারণত বেশি দিন বাঁচে না। যদি ৮-১০ দিন সুস্থ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বিড়াল র্যাবিশে আক্রান্ত ছিল না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।