জুমবাংলা ডেস্ক : এ যেন সবুজের সম্মিলন। পুড়ো বাড়ি জুড়ে অসংখ্য গাছ গাছালি। ছায়া ঘেরা শান্ত, নিবির এই বাড়িতে প্রবেশ করতেই পাখির কলকাকলি কানে ভেসে আসে। পাখিদের সুমধুর সুরে মনে ভরে যায়।
বলা হচ্ছে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু গ্রামের কৃষক এরশাদ মিয়ার বাড়ির কথা। প্রকৃতির এমন মায়াবী পরিবেশ পেয়ে- আজ থেকে চার বছর আগে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন জাতের অসংখ্য পাখি তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বাড়িটি এখন হাজারো পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব পাখি বেরিয়ে পড়ে খাদ্যের খোঁজে। সারাদিন এদিক ওদিক ছুটাছুটির পর- সন্ধ্যার আবছায়ায় আবারও- পাখায় ভর দিয়ে ডানায় শব্দ তুলে কোরস কণ্ঠে ফিরে আসে- এ নিরাপদ আশ্রয়ে।
দীর্ঘদিন ধরে পাখিগুলোকে নিজ সন্তানের মতোই অতি মমতায় আগলে রেখেছেন এরশাদ মিয়া ও তার পরিবার। পাখির কলকাকলি, উড়া-উড়ি আর চেঁচামেচি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ভিড় করছেন এ গ্রামে। আর জেলার সবকটি পাখির আশ্রয়স্থল নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম।
এরশাদ মিয়া ও তার স্ত্রী শাহারা বেগম জানালেন, বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসেন বাড়ির পাখি মারতে। তবে আমাদের জন্য তারা তা পারছে না। স্বামী স্ত্রী জানালেন, তারা নিজের সন্তানের মতো এগুলোকে আগলে আছেন। এখন তাদের বাড়িকে পাখি বাড়ি হিসাবেই অনেকে চিনে।
পাখি দেখতে প্রতিদিন শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী পাখি প্রেমিকরা এসে ভিড় করছেন এরশাদ মিয়ার বাড়িতে। পাখির কোলাহল, চেঁচামেচি দেখে তারাও অভিভূত।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানালেন, একা শুধু কৃষক এরশাদ মিয়ার বাড়ি নয়, জেলার সবকটি পাখির আশ্রয়স্থল নিরাপদ রাখতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, মৌলভীবাজার জেলায় সাতটি পাখি বাড়ি রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।