আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে দিচ্ছে—অসম্ভব বলেও কিছু নেই। এমনই এক নজির স্থাপন করলেন আমেরিকার চিকিৎসকরা, যেখানে প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হলো এক যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধতি।
এই চিকিৎসার কেন্দ্রে রয়েছেন জইওয়েন সু নামের এক যুবক। তিনি ‘অ্যাজুস্পার্মিয়া’ নামের এক বিরল রোগে আক্রান্ত, যেখানে বীর্যে একটিও শুক্রাণু থাকে না। প্রতি ৫০ হাজার পুরুষের মধ্যে মাত্র ৫০ জনের শরীরে এই সমস্যা দেখা যায়। সু-এর ক্ষেত্রে এই রোগের কারণ ছিল শৈশবের হাড়ের ক্যানসার। সে সময় কেমোথেরাপির মাধ্যমে ক্যানসার নিরাময় হলেও, তার প্রভাব পড়ে যৌন অঙ্গের বিকাশে। ফলে অণ্ডকোষের যে অংশে শুক্রাণু তৈরি হওয়ার কথা, তা সঠিকভাবে গঠিত হয়নি।
তবে আশার আলো জলে ওঠে ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকদের হাতে। জানা যায়, সু যখন শিশু ছিলেন, তখন ভবিষ্যতের ক্যানসার প্রতিরোধে তাঁর স্টেম সেল সংরক্ষণ করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, সেই সংরক্ষিত স্টেম সেলই ব্যবহার করা হবে শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য।
এই লক্ষ্যেই সু-এর অণ্ডকোষের উপরের দিকে একটি মাইক্রো নিডলের মাধ্যমে স্টেম সেল ইনজেকশন দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের ভাষায়, এই স্টেম সেল ‘রেটি টেস্টিস’ নামক একটি অঙ্গ গঠনে সহায়তা করবে, যা সাধারণত শুক্রাণু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাঁদের আশা, এর ফলে দেহে বয়ঃসন্ধিকালের মতো হরমোন প্রতিক্রিয়া শুরু হবে এবং শুক্রাণু উৎপাদন সম্ভব হবে।
এই চিকিৎসা আগে পশুদের উপর প্রয়োগ করা হলেও, মানুষের দেহে এই পদ্ধতি প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করা হলো। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা ভবিষ্যতে বহু বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভোগা পুরুষের জন্য আশার আলো হয়ে উঠতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।