আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১২ সালে জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা ভিকি ডোনার ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছিল। তখনও অনেকেই জানতেন না যে শুক্রাণু দান করাও হতে পারে একটি বৈধ জীবিকা। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন বড় ক্লিনিকে শুক্রাণু দাতাদের অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া হয়।
ভারতে শুক্রাণু দানের জন্য দাতারা প্রতিবারে পেতে পারেন ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা। এটি নির্ভর করে ক্লিনিকের মান ও দাতার মানের উপর। সাপ্তাহিক দু’বার করে শুক্রাণু দান করলে একজন ব্যক্তি মাসে ৪,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারেন। মুম্বই, দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর মতো বড় শহরে চাহিদা বেশি হওয়ায় উপার্জনের পরিমাণও ৮,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ক্লিনিকগুলো সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের উপর জোর দেয়। যেমন—দাতা যদি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মেধাবী ছাত্র হন, উচ্চতা ভালো হয় এবং গায়ের রঙ উজ্জ্বল হয়, তাহলে তাঁদের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। তবে বিদেশে এসব শর্ত খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আমেরিকাতে সিয়াটল স্পার্ম ব্যাঙ্কে প্রতিবার দানে পাওয়া যায় প্রায় ৮,৪০০ টাকা, যেখানে মাসে উপার্জন হতে পারে এক লক্ষ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। ক্যালিফোর্নিয়া স্পার্ম ব্যাঙ্কে প্রতিবার দেওয়া হয় ১২,০০০ টাকা এবং মাসিক আয় হতে পারে ৫৮ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকার মধ্যে।
ইউরোপে ইউরোপিয়ান স্পার্ম ব্যাঙ্ক প্রতিবারের জন্য দেয় প্রায় ৩,৬০০ টাকা। ক্রায়োস ইন্টারন্যাশনালে মাসিক আয় হতে পারে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত। যদি ছয় মাস টানা শুক্রাণু দান করেন, তাহলে আয় হতে পারে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।