লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌন মিলনের সময় হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে ১২০ থেকে ১৩০-এ পৌঁছাতে পারে, যা দ্রুত হাঁটার মতোই প্রভাব ফেলে। এই কার্যকলাপ শরীরে ৩ থেকে ৪ MET শক্তি ব্যয় করে। এছাড়াও, যৌন মিলন শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায়, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হৃদপিণ্ডের ধমনির নমনীয়তা বজায় রাখে।
ধারণা করা হয়, সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত যৌন সম্পর্ক শুধু মানসিক শান্তিই নয়, শারীরিক সুস্থতাও বজায় রাখে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই শারীরিক ঘনিষ্ঠতা উপেক্ষা করেন এবং দীর্ঘ সময় যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকেন।
এটা হতে পারে একটি বড় ভুল। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যৌন মিলন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সারাংশ জৈন।
সপ্তাহে দুবার যৌন মিলনে অভ্যস্ত পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ কমে আসে। নারীদের ক্ষেত্রেও যৌন মিলন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং এটি রক্তনালীগুলিকে সুস্থ রাখে।
গবেষকদের মতে, সহবাসের পরে শরীরের সিস্টোলিক রক্তচাপ ৫ থেকে ১০ মিমি এইচজি পর্যন্ত কমে যেতে পারে। কারণ যৌন মিলনের সময় শরীরের স্বাভাবিক শিথিল প্রতিক্রিয়া ঘটে, যা পেশীগুলিকে শিথিল করে এবং চাপ কমায়। ফলে যৌনতা কেবল আনন্দের জন্য নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাকৃতিক উপায় হিসেবেও কাজ করতে পারে।
এই সময় শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা ১০-১৫ শতাংশ কমে যায় এবং অক্সিটোসিন হরমোনের মাত্রা বাড়ে, যা আবেগের বন্ধন দৃঢ় করে এবং রক্তনালীর কঠোরতা হ্রাস করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই কারণেই নিয়মিত যৌনতা ভালো ঘুম, মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।
যারা ঘনিষ্ঠ এবং সন্তোষজনক সম্পর্ক বজায় রাখেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘজীবী হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। জনস হপকিন্স সিকারোন সেন্টার জানিয়েছে, একাকীত্ব করোনারি ধমনী রোগের ঝুঁকি ২৯ শতাংশ বাড়াতে পারে।
তাই যৌন সম্পর্ক কেবল শারীরিক নয়, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যৌন কার্যকলাপ বাড়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।