বিনোদন ডেস্ক : টম ক্রুজ ও নিকোল কিডম্যান। হলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তারা। ব্যক্তিগত জীবনে একসময় তারা ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। যদিও এখন তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তারপরেও টমের প্রতি বেশ কৃতজ্ঞ কিডম্যান।
সম্প্রতি মার্কিন এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছে তিনি।
তার ভাষায়, ‘টম আমাকে একাধিকবার কাস্টিং কাউচের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। প্রায়ই আমি যৌন হয়রানির শিকার হতাম। তখন টম না থাকলে হয়তো নিজেকে সামলে রাখা কঠিন হয়ে যেত।’
নিকোল কিডম্যান কিশোরী বয়স থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। ১৯ বছর বয়সে তিনি প্রথম বাড়ি কিনেছিলেন এবং নগদে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করেছিলেন। ২২ বছর বয়সে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ তারকা টম ক্রুজের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন।
মূলত টমের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কারণেই যৌন হয়রানি থেকে বেঁচেছেন। বছর দুয়েক আগে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলনের মাধ্যমে মেগান ফক্স, ব্রি লারসন, সোফি টার্নার এবং গুইনেথ প্যালট্রোসহ অনেক অভিনেত্রীই হলিউডে তাদের কাস্টিং কাউচের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
নিকোলও স্বীকার করেছেন, তিনি শৈশব থেকে একাধিকবার ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ মুহূর্তের শিকার হয়েছেন কিন্তু তখন বিস্তারিত জানানো তার পক্ষে সম্ভব ছিল না।
টম ক্রুজের সঙ্গে তার বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিকোল কিডম্যান বলেন, ‘আমি খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেছি, তবে এটি অবশ্যই আমার জন্য শক্তি ছিল, এটিছিল সুরক্ষা। আমি প্রেমের জন্য বিয়ে করেছি, কিন্তু একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী পুরুষের সঙ্গে বিয়ে আমাকে যৌন হয়রানি থেকে বিরত রেখেছে।’
একমাত্র এই সেক্টরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কখনোই চাকরি নিতে পারবে না
উল্লেখ্য, টম ক্রুজ এবং নিকোল কিডম্যান ১৯৮৯ সালে ‘ডেজ অব থান্ডার’ সিনেমার সেটে পরিচয়ের এক বছরের মধ্যে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের ১১ বছর পর ২০০১ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।