আন্তর্জাতিক ডেস্ক : “দীর্ঘাকার শসা ফলানো বেশ ঝুঁকির। আপনি যদি সময়ের আগে গাছ থেকে একে কেটে ফেলেন, তাহলে রেকর্ড করবেন কীভাবে! আবার যদি বেশি সময় রেখে দেন, তাহলে গাছেই শসা পেকে নষ্ট হয়ে যাবে।”
শসা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড করেছেন সেবাস্তিয়ান সুস্কি। পোল্যান্ডে জন্ম নিলেও শৌখিন এই বৃক্ষপ্রেমীর বাস যুক্তরাজ্যে। সেখানকার প্রচন্ড গরমের মধ্যেও সেবাস্তিয়ান ১১৩.৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের শসা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ৬.৪ সেন্টিমিটার লম্বা শসার।
সাতটি বছর ধরে স্ত্রী রেনাটার সহায়তায় সেবাস্তিয়ান দীর্ঘাকার ফল ও সবজি চাষ করে আসছেন। ইউরোপীয়ান জায়ান্ট ভেজিটেবল গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং গ্রেট পাম্পকিন কমনওয়েলথ নামক সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত আছেন তিনি।
দীর্ঘাকার কিংবা আয়তনে বড় ফল, সবজি ইত্যাদি ফলিয়ে তিনি একাধিকবার জাতীয় রেকর্ডও করেছেন। অধরা ছিল কেবল বিশ্বরেকর্ড।
সেবাস্তিয়ানের ভাষ্যে, “আমি সব সময়ই লম্বা লম্বা শসা ফলিয়ে এসেছি কিন্তু তার কোনটিই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখায় নি।” “দীর্ঘাকার শসা ফলানো বেশ ঝুঁকির। আপনি যদি সময়ের আগে গাছ থেকে একে কেটে ফেলেন, তাহলে রেকর্ড করতে পারবেন না। আবার যদি বেশি সময় রেখে দেন, তাহলে গাছেই শসা পেকে নষ্ট হয়ে যাবে।”
সেবাস্তিয়ান তাই একদম যথাসময়ে তার ‘কিং সাইজের’ শসা কেটেছিলেন। শসাটি হলুদ হতে শুরু করেছে তবু এখনও ১০-১২ দিন পর্যন্ত এটির পচার আশংকা নেই। সেবাস্তিয়ানের কাছে এসব শসা যেন তার পরিবারের সদস্য। তার মতে, পরিবারে শিশুদের যেমন অনেক আদর-যত্নের প্রয়োজন হয়, তেমনি যত্ন ছাড়া কোনো কিছু ফলানোও সম্ভব না।
পেশায় কনট্যাক্ট লেন্সের ব্যবসায়ী সেবাস্তিয়ানের অবসর কাটে বাগানেই। দীর্ঘাকার শসার জাত উদ্ভাবন ও বীজের উন্নয়নে তিনি ১৫ বছর ধরে নিরীক্ষা করছেন। রেকর্ডধারী শসাটির বীজ তিনি পেয়েছেন পোল্যান্ডের এক কৃষকের কাছ থেকে।
‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ গানের দৃশ্যে বাইকেই চড়েননি উত্তম-সুচিত্রা, যেভাবে শুটিং হয়েছিল
সেবাস্তিয়ান আশাবাদী সামনে তিনি আরও অনেক রেকর্ডের অধিকারী হবেন। এখনও তার বাগানে প্রচুর দীর্ঘাকার শসা রয়েছে; আরও আছে বাটারনাট স্কোয়াশের মতো প্রকাণ্ড কুমড়াজাতীয় সবজি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।