জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত বুধবার থেকেই টানা বৃষ্টি ঝরছে। বৃহস্পতিবারও দিনজুড়ে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ শুক্রবারও এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধান ও রবিশস্যের। সেই সঙ্গে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষেরও।
বৃষ্টি শেষে দুয়েকদিন পরই শীত নামার আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজও দেশজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দিনশেষে দেখা মিলতে পারে ঝলমলে রোদের।
এদিকে গত দু’দিনের বৃষ্টিতে মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু আলুর খেত ডুবে গেছে। ফলে আলুর বীজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহের মধ্যে যাঁরা আলুর বীজ রোপণ করেছিলেন, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকার কৃষকেরা বলছেন, এক দিনের মধ্যে পানি কমে না গেলে সব সবজিই পচে যাবে। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপটি ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। আর মেঘ কেটে গেলেই শীতের প্রকোপ বাড়বে।
এ ছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আমন ধানের ক্ষতি যেমন হয়েছে, তেমনি রবিশস্যেরও ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও পাকা ধানখেতে পানি জমেছে।
এদিকে, রাজধানীর ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় গতকাল ৬ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে হালকা থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।