জুমবাংলা ডেস্ক : শরীয়তপুরের জাজিরায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় কনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বিলাসপুর ইউপির চেরাগ আলী বেপারীকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছোট পরিসরে এক তরুণীর বিয়ের আয়োজন করেন চাচাতো ভাই সৈয়দ তাজুল ইসলাম। বিয়েতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন ও তার লোকজনকে দাওয়াত দিতে পারেনি মেয়ে পক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হন ইউপি সদস্য ও তার লোকজন। শনিবার রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে নাসির উদ্দিন ও তার লোকজন কনের বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। নষ্ট করা হয় মেহমানদের জন্য তৈরি খাবার। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পিন্টু সরদার নামের এক ব্যক্তির একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার বিকেল সৈয়দ তাজুল ইসলামের ছোট ভাই সৈয়দ সাব্বির হোসাইন বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রহমান খাঁ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেন, আমার চাচা আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও অসুস্থ। তাই আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে ছোট পরিসরে বোনের বিয়ের আয়োজন করি। অনুষ্ঠানে অনেক আত্মীয়কেও দাওয়াত দেওয়া সম্ভব হয়নি। মেম্বার নাসির বেপারী ও তার লোকজনকে দাওয়াত দেইনি বলে আমাদের অনুষ্ঠান নষ্ট করতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
মামলার বাদী সৈয়দ সাব্বির হোসাইন বলেন, হঠাৎ করে মেম্বার ও তার লোকজন বাড়িতে ঢুকে ককটেল ফাটায়। ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ও মালামাল লুটপাট করে। যাওয়ার সময় মেহমানের জন্য আনা গরুর মাংস মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেয়।
তবে ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। তবে তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়েতে এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে দাওয়াত দেয়নি বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।
আশ্রমকেও টেক্কা দেবে এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, কনের পরিবার আর্থিকভাবে একটু অসচ্ছল। বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে ইউপি সদস্য ও তার লোকজন বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।