বিনোদন ডেস্ক : দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় দুই তারকা নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু। বেশ কয়েকটি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই জুটি। রিল লাইফ থেকে বের হয়ে তাদের সেই প্রেম যেন ধরা দেয় রিয়েল লাইফেও।
এ তারকা জুটির প্রেম পরিণয়ে রূপ নেয় ২০১৭ সালের অক্টোবরে। ঘর বাঁধেন নাগা চৈতন্য-সামান্থা। তবে খুব বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাদের সংসার। বিয়ের মাত্র চার বছরের মাথায় অর্থ্যাৎ ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এ তারকা দম্পতি। এবার জানা গেল, সামান্থা তার বিয়ের পোশাকই ছিঁড়ে ফেলেছেন।
হিন্দু আর খ্রিস্টান ধর্ম মেনেই বিয়ে করেছিলেন নাগা চৈতন্য ও সামান্থা। বিয়েতে সাদা রঙয়ের একটি গাউন পরেছিলেন অভিনেত্রী। ছোট ছোট ফুলের কাজ করা ছিল সেই গাউনে। আর সেই সুন্দর গাউনই ছিঁড়ে ফেললেন অভিনেত্রী।
জানা গেছে, নিজের পুরনো বিয়ের গাউন কেটে ককটেল ড্রেস বানিয়েছেন সামান্থা। আর কালো রঙের এই নতুন ড্রেসটি অভিনেত্রীকে তৈরি করে দিয়েছেন ডিজাইনার ক্রেশা বাজাজ।
বিয়ের গাউন ছিঁড়ে নতুন ড্রেস বানানোর প্রসঙ্গে সামান্থা জানান, জামাকাপড়ের অপচয় বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ। সাদা বিয়ের গাউনকে কেটে বানিয়েছি কালো রঙের ককটেল ড্রেস।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সামান্থা বিয়ের গাউন কেটে তৈরি কালো পোশাকটি পরে যান। আর ওই ড্রেসটি সেখানে বেশ নজর কাড়ে ভক্ত-অনুরাগীদের। এ ছাড়া পুরোনো পোশাককে নতুন রূপ দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ডিজাইনার ক্রেশা বাজাজও।
পুরানো পোশাককে নতুন ভাবে তৈরি করার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, আমার মনে হয়, প্রকৃতির স্বার্থেই আমাদের সবার এবার এগিয়ে আসা উচিত। কারণ প্রকৃতিকে আর অবহেলা করার জায়গায় আমরা নেই। আমি আমার পুরনো একটা পোশাককে নতুন করে তৈরি করেছি। আমি গত কয়েক বছর জীবন যাপনের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এনেছি তাতেই বুঝেছি, যে কোনো জিনিসের অপচয় বন্ধ হওয়া উচিত। আপনারাও এগিয়ে আসুন।
অবশ্য শুধু সামান্থা নন, আলিয়া ভাট থেকে আনুশকা শর্মা— অনেকেই সম্প্রতি জামাকাপড়ের অপচয় বন্ধের কথা বলছেন।
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় করছেন সামান্থা। ক্যারিয়ারে অভিনয়ে প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে: ডোকুডু, এগা, সামথিং সামথিং, মানাম, ২৪, থেরি, অ আ, রাঙ্গাস্থালাম, ইউ টার্ন প্রভৃতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।