লাইফস্টাইল ডেস্ক : আশপাশে থাকা মানুষগুলো প্রায়ই প্রশ্ন করে থাকেন, বিয়ে করছো না কেন? আবার অনেকেই বলেন, বিয়ে হলেই জীবনের সব সমস্যা নাকি দূর হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিয়ে হলো দায়িত্ব কাঁধে নেয়া। এই দায়িত্ব নেয়ার আগে নিজের প্রস্তুতি অবশ্যই ঠিকঠাকভাবে হওয়া চাই।
জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর আগে অবশ্যই কিছু প্রস্তুতির ব্যাপার রয়েছে। এ জন্য শুধুই আর্থিক স্বচ্ছলতা যথেষ্ট নয়। রয়েছে আরও অনেক বিষয়। সার্বিকভাবে অনেকেই বুঝতে পারেন না, বিয়ের জন্য সে প্রস্তুত কিনা। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। তাহলে জেনে নেয়া যাক কীভাবে বুঝবেন বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত কিনা।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা: বিয়ের আগে আপনাকে অবশ্যই সহনশীল ও স্থির হওয়া জরুরি। বিয়ের পর যদি নিজের মন এদিক-সেদিক ছটফট করে, তাহলে জীবনসঙ্গী বা নতুন সংসারের দায়িত্ব কীভাবে সামলাবেন। সঙ্গীর সঙ্গে সবসময় সুন্দরভাবে কথা বলতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে মতবিরোধ হলে তা ঠান্ডা মাথায় ভেবে সমাধান করতে হবে। আর হ্যাঁ, অল্পতেই কখনো রেগে যাওয়া যাবে না।
আর্থিক স্বাবলম্বী: বিয়ের পর নতুন একটি সংসার হবে। তখন সেই সংসারের আর্থিক বিষয়গুলো সামলাবেন কীভাবে, তা ভেবে রাখতে হবে। যার সঙ্গে বিয়ে হতে যাচ্ছে, তার লাইফস্টাইল সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আগে বিয়ে হোক, পরে দেখা যাবে―এমনটা ভাবা ঠিক হবে না। বিয়ের পর নতুন সংসারে সবমিলে কেমন খরচ হতে পারে, এসব ভাবুন। আর আপনার আয়ে সেই খরচ সামলানো সম্ভব কিনা, সেটাও ভাবতে হবে।
পরিণত আচরণের প্রতিজ্ঞা: নতুন জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ছোট-বড় অনেক কিছু ঘটতে পারে। সেসব হবে নতুন অভিজ্ঞতা। আর নতুন পরিস্থিতি থেকে আপনাকে কিছু শেখার জন্য মানসিকতা থাকতে হবে। নেতিবাচক কিছু হলেও সেখানে ইতিবাচকভাবে ভেবে সমাধান খুঁজতে হবে। যা একজন দায়িত্বশীল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের থাকে। আপনার মধ্যে যদি এ ধরনের মানসিকতা না থাকে, তাহলে বিয়ের পর অনেক বিভ্রাটে পড়তে হবে। কখনো ঘরের কাজ করিনি, এসব কাজ আমার নয়, এ ধরনের ভাবনা যদি থাকে, তাহলে আপনি এখনো বিয়ের জন্য প্রস্তুত নন।
নিজ সম্পর্কে সচেতনতা: প্রতিটি মানুষের ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। এ জন্য নিজের দিকে মনোযোগী হতে হবে। নিজের দোষগুলো দাম্পত্যজীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা জানার চেষ্টা করুন। তবে সবসময় ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। দুর্বলতা, শক্তি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজেকে বিচার-বিবেচনা করুন, বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভার নেয়ার জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত।
পরস্পর সহযোগিতামূলক হওয়া: জীবনসঙ্গী, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সবার প্রতি সবসময় সহযোগিতামূলক আচরণ থাকতে হবে। নতুন জীবনে ওই পরিবারের সদস্যদের প্রতি ইতিবাচক হতে হবে। তাদের প্রতি কিছু দায়িত্ব থাকবে আপনার। সেসব সামলাতে হবে। এ নিয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কতটা প্রস্তুত।
হবু সঙ্গীর সঙ্গে মতামত ও লক্ষ্যের মিল: যার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা বা যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, তার সঙ্গে নিজের আদর্শ, বিশ্বাস ও জীবনের লক্ষ্যের মিল থাকা জরুরি। যার সঙ্গে বিয়ের কথা চলছে, তার সঙ্গে জীবনের লক্ষ্য, চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। তার মতাদর্শও জানুন। এসব জানার পর বুঝতে পারবেন, তাকে বিয়ে করতে কতটা প্রস্তুত আপনি। হবু সঙ্গীর খাদ্যাভ্যাস, পেশা ও শখের বিষয়গুলো জানুন। যদিও সবকিছুতে পরিপূর্ণ মিল পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এমনভাবে জানুন, যাতে বিয়ের পর কারও বিশ্বাস বা আদর্শে কোনোভাবে আঘাত না আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।