বিনোদন ডেস্ক : ২৪-২৫ বছর বয়সকেই বিয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। বিয়ের জন্য ব্যাংকগুলোকে সহজ ঋণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে আক্ষেপ করে আসিফ লিখেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি, ছাত্র আন্দোলনের বাঘা বাঘা নেতা এবং তাদের সহকর্মীরা এখনও ব্যাচেলর।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক ফেসবুক পোস্টে ছেলের বিয়ের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন আসিফ। তিনি লিখেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র-ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমেই। আমি ২৪-২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা-মা হতে পারে, আমরাও দাদা-নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে। কবে স্টাডি শেষ হবে, তারপর প্রতিষ্ঠা পাবে, তারপর টাকা জমিয়ে বিয়ে করতে হবে! এর মধ্যে চলে যাবে যৌবনের সুন্দর সময়।’
কণ্ঠশিল্পী আরও লিখেছেন, ‘সোনার ভরি এখন এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। অন্যান্য সামাজিকতার খরচ ধরলে কেউ ২৪-২৫ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে না। সন্তানদের বিয়ের জন্য এগিয়ে আসতে হবে বাবা-মাকে।’
পোস্টের মাঝামাঝি আসিফ লিখেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্র আন্দোলনের বাঘা বাঘা নেতা এবং তাদের সহকর্মীরা এখনো ব্যাচেলর। অথচ আমি ওই বয়সে দুই ছেলের বাবা হয়েছি। তাদের উচিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তরুণদের বিয়ের জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা। ব্যাংক ঋণ দেবে এবং সেটা দূরবর্তী সময়ের কিস্তিতে আস্তে আস্তে পরিশোধ করা হবে কোনো প্রেশার ছাড়া। আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটা ফ্রি টিপস দিলাম, এখনই সময়।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এদিকে দেখতে দেখতে আমার বড় ছেলে শাফকাত আসিফ এবং শেহরীন ঈশিতার দ্বিতীয় বিয়ে বার্ষিকী পূরণ হয়েছে আজ। দুজনই কানাডার টরন্টোয় স্টাডিতে আছে। তবে আপাতত দাদা হওয়ার মতো কোনো সুখবর নেই। ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বললো প্ল্যান নাকি আছে। বললাম, তোমার জন্মের সময় কোনো প্ল্যান আমাদের ছিল না, অথচ দুর্ভাগ্য তোমার কাছ থেকে প্ল্যানের গল্প শুনতে হলো।’
সবশেষে আসিফ লিখেছেন, ‘পরিস্থিতি যাই ঘটুক ২০২৬ সালের শুরুতেই আমার ছোট ছেলে শাফায়াত রুদ্রর বিয়ে দেব ইনশাআল্লাহ, সে অপেক্ষায় অস্থির হয়ে আছি। রণ-ঈশিতা তোমাদের বিয়েবার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আনন্দে বাঁচো বাবা। ভালোবাসা অবিরাম।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।