আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাত্রী খুঁজে দেওয়ার দাবিতে বিয়ের পোশাক পরে, ঘোড়ায় চড়ে ও ব্যান্ড মিউজিক বাজিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করলেন একদল ব্যাচেলর। ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের সোলাপুর এলাকায় বুধবারের এই বিক্ষোভে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকায় বিবাহযোগ্য মেয়ের সংখ্যা নেমেছে তলানিতে। নারী-পুরুষের অনুপাতে হিসাব উল্টে গেছে। ফলে পাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
ভারতের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের যোগ্য একদল যুবক একত্রিত হয়ে একটি দল গঠন করেন। এই দলের নাম দেওয়া হয় ‘ব্রাইডগ্রুম মোর্চা’ বা ‘পাত্রের দল’। পরে শহরটিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে একটি চিঠিও জমা দেন তারা।
তারা সন্তান জন্মের আগে গর্ভস্থ ভ্রুণের লিঙ্গ জেনে ফেলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। মিছিলে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শামিল রমেশ বরস্কর নামের এক যুবক বলেন, ‘আমাদের নিয়ে লোকজন ঠাট্টা করতে পারেন। কিন্তু বিবাহযোগ্য পুরুষরা বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে পাচ্ছেন না, এটাই আসল সত্যি। কারণ এখানে নারী-পুরুষের অনুপাত ঠিক নেই।’
মিছিলকারীদের দাবি, মহারাষ্ট্রে প্রত্যেক ১ হাজার পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যা ৮৮৯ জন। এই অসাম্যের জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন তারা।
তাদের অভিযোগ, জন্মের আগে বা পরে কন্যাভ্রুণ হত্যা করা হয়। সরকার তা বন্ধ করতে সক্ষম হয়নি। সেই কারণেই রাজ্যে নারী-পুরুষের সংখ্যায় ভারসাম্য বজায় নেই।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, পিটিআই, আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।