আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ের রাতে নববধূর মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ এসেছিল। সেটি কোনোভাবে চোখে পড়ে যায় বরের। আর তার থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে প্রবল বচসা। এই ঘটনা শেষপর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায় থানায়। পুলিশও বর-নববধূর মধ্যে বিবাদ মেটাতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার একটি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। পাত্রের বাড়ি বীরভূমে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। দুই পরিবারের মধ্যে দেখাশোনা করে বিয়ে ঠিক হয়। পাত্র ও বরযাত্রীরা মুর্শিদাবাদ গিয়েছিলেন।
শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আর বিবাহ সম্পন্ন হতেই ঘটে বিপত্তি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষের পরেই কিছুক্ষণের জন্য নতুন বর বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত তিনি ফিরে আসেন। দেখতে পান, নতুন বউ ফোনে মগ্ন হয়ে আছেন। জানা গেছে, ফোনে আসা একটি মেসেজ বরের নজরে পড়ে যায়। আর তারপরই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি।
হইচই শুরু হয়ে যায় অনুষ্ঠানবাড়িতে। এদিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে সোজা থানায় গিয়ে হাজির হন বর। একে একে দুই পরিবারের সদস্যরাও থানায় হাজির হন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে থানাতেই পুলিশ বিবাদ মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু কখনও বর বেঁকে বসেন। কখনও আবার নববধূ সংসার করতে চান না।
পাত্রপক্ষের দাবি, মেসেজে লেখা ছিল, ‘তুমি এখনও চলে এসে। আমি ঘর করতে রাজি আছি।’ কনের বক্তব্য, যাকে নিয়ে সারা জীবন কাটাতে হবে। তিনি ফোনে আসা একটি মাত্র মেসেজের জন্য এমন কাণ্ড ঘটাবেন! তা মানা যায় না। তাই বিয়ে হলেও স্বামীর ঘরে সংসার করতে পারবেন না তিনি। এদিকে স্ত্রী হিসেবে তাঁকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন নতুন বরও। মেয়েরবাড়ির লোকজন অনেক কিছু গোপন করেছে বলে দাবি তাঁর। শুক্রবার দিনভর এই টানাপোড়েন চলতে থাকে।
Vivo V50e : কমমূল্যে বাজার কাঁপাতে আসছে, লিক হল দাম এবং স্পেসিফিকেশন!
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্ত পাত্রীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাত্র ও পাত্রীর দু’জনের লিখিত গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় পাত্রীর বাবাসহ মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাত্রীকে আদালতের নির্দেশে সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।