আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমাজবিজ্ঞানের পরীক্ষায় বিয়ের অর্থ জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে শূন্য পেয়েছে এক ছাত্র। পরীক্ষার খাতাটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। কী লেখা রয়েছে তাতে?
সমাজবিজ্ঞানের পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল, ‘বিয়ের সংজ্ঞা কী?’ প্রশ্নমান ছিল ১০। সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে শূন্য পেয়েছে এক ছাত্র। তবে তার পরীক্ষার খাতাটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কারণ অনেকেরই মনে হয়েছে, ওই কিশোর যে উত্তরটি লিখেছে, তা শিক্ষকদের চোখে পরীক্ষার উত্তর হিসাবে মনে না হলেও, এটাই বাস্তব।
পরীক্ষার যে খাতাটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘বিয়ে তখনই হয়, যখন একটি মেয়ের বাবা-মা তাঁকে বলেন, এ বার তুমি বড় হয়ে গিয়েছ। আমরা আর তোমাকে খাওয়াতে পারব না। এক জন জীবনসঙ্গী খুঁজে নাও। যিনি তোমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবেন।
তখন সেই মেয়েটি এক জন সঙ্গী খোঁজেন, যাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে বলা হয়, এ বার তুমি বড় হয়েছ। নিজের সংসার গড়ে নাও। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সুখে থাকো। তার পর তাঁরা দু’জন বিয়ে করেন। তাঁদের সন্তান হয়। বাকি জীবনটা এ ভাবেই কাটিয়ে দেন।’’ পরীক্ষায় খাতায় এমন উত্তর পেয়ে শিক্ষকও প্রথমে ঘাবড়ে যান। লাল কালি দিয়ে খাতাটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কেটে শূন্য বসিয়ে দেন। সঙ্গে লিখে দেন ‘ননসেন্স’।
পরীক্ষার খাতাটি ভাইরাল হতেই অনেকে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। বেশির ভাগের মত, ওই কিশোর হয়তো বইয়ে যা আছে, তা হুবহু লেখেনি। তবে ভুলও কিছু লেখেনি। সে হয়তো এমনটাই দেখেছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ধার করে লিখেছে। বিয়ের গূঢ় অর্থ তো এই বয়সে জানার কথা নয়। নিজের পরিবারে, চারপাশে যা দেখেছে সেটাই হয়তো নিজের মতো করে লিখেছে। অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখেনি। এমন তো হয়েই থাকে। অবাস্তব কিছু নয়। দশে অন্তত আট তার প্রাপ্য ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।