আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতেন। তারপর পরিবারের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এক পর্যায়ে ওই পরিবারের পুরুষ সদস্যকে প্রেমের ফাঁদে বিয়ে করতেন। বিয়ের পর জমি ও ফ্ল্যাট হাতিয়ে নিতেন।
জমি ও ফ্ল্যাট হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রীতি নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের দিল্লির পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে প্রীতি প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করতেন। তার পরে নানা কৌশলে বাড়ির সদস্যদের মন জয় করে নিতেন। সেই বাড়ির ছেলেদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য রাজি করিয়ে নিতেন। নিজের দলের অন্য সদস্যদের তার পরিবারের লোকজন সাজিয়ে এনে ধুমধাম করে বিয়ে করতেন। চারটি বিয়ে করে জমি ও ফ্ল্যাট হাতিয়ে নিয়েছেন।
এর আগে একাধিক বিয়ে করলেও কারও নজরে পড়েননি। তবে শেষরক্ষা হল না। এবার সুধা সিংহ নামের এক প্রাক্তন উপাচার্যের ছেলেকে বিয়ের পর প্রীতি একটি দোতলা বাড়ি নিজের নামে লিখে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই বাড়ির মূল্য ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের এই গ্রামে চাইলেই চুক্তিতে বউসহ সব কিছুই ভাড়ায় পাওয়া যায়
ওই উপাচার্যের মেয়ে থানায় প্রীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর পুলিশ সচিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। সচিন পুলিশকে জানান, তিনিই প্রীতির সঙ্গে ৭০ বছর বয়সী সুধা সিংহের পরিচয় করিয়ে দেন। সচিন জানতেন সুধার ২৮ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে রয়েছে, যার নাম শিবম। সুধার বয়সজনিত কারণে শরীর একেবারেই ভালো ছিল না। সেই সময়ে সুযোগ বুঝে ছলে-কৌশলে প্রীতি শিবমকে বিয়ে করেন। সুধা মারা যাওয়ার তার মেয়ে আকাঙ্ক্ষা ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে এলে প্রীতি বিয়ের কথা তাকে জানান এবং আকাঙ্ক্ষার কাছে সম্পত্তির ভাগ চেয়ে বসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।