বিনোদন ডেস্ক : কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি মামলায় নাম আসার পর থেকেই তুমুল আলোচনায় রয়েছেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা একটি চার্জশিটে অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনগুলো থেকে বোঝা যায় যে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের দ্বারা এতটাই বিশ্বাসী এবং প্রভাবিত হয়েছিলেন যে তাঁর অপরাধ প্রকাশের পরেও অভিনেত্রী তাঁর সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখেছিলেন। পুলিশের বিশেষ কমিশনার (ইওডাব্লিউ) রবিন্দর যাদব এ বিষয়ে বলেন, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের জন্য আরো সমস্যা তৈরি হয়েছে কারণ তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের অপরাধমূলক পূর্ব কর্মকাণ্ড জানার পরও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।
প্রচুর ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় এই নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাঁকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকলিন। তাঁকে বিয়ে করার কথাও ভাবেন।
এ ক্ষেত্রে নোরা ফাতেহি যখন সন্দেহ করেন যে কিছু একটা সমস্যা আছে, তখন তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সুকেশের সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, এমনটাই জানান পুলিশের বিশেষ কমিশনার।
এর আগে ইডির চার্জশিটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জ্যাকলিন ‘পিএমএলএ’র আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘কিছু উপহার গ্রহণের জন্য তাকে দোষ দিয়ে অপরাধী বানানো উচিত নয়। ’ তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখর দ্বারা প্রতারিত ছিলেন, এটাও স্পষ্ট করে জানান তিনি।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ দিল্লির মন্দির মার্গ অফিসে হাজির হয়েছিলেন। তার সঙ্গে পিঙ্কি ইরানিও ছিলেন। পিঙ্কিই চন্দ্রশেখরের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এই মামলায় দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা তাকে আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
একটি ভিডিওতেই বদলে গিয়েছিল ঐশ্বরিয়ার জীবন, দেখুন ভাইরাল সেই ভিডিওটি
এদিকে মামলার প্রধান আসামি সুকেশ চন্দ্রশেখর বর্তমানে দিল্লির কারাগারে বন্দি। তার বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত আছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।