বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং অংকে পড়লে বিয়ে করা কঠিন হয়ে পড়ে- এমন ধারণা থেকে অন্য বিষয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে জাপানের ছাত্রীদের। এ কারণে দেশটিতে প্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের কর্মী সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের নারীদের মেধার সুনাম ও স্বীকৃতি আছে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এর তথ্য অনুযায়ী, জাপানের মেয়েরা বিশ্বের সব দেশের মধ্যে অঙ্কে দ্বিতীয় এবং বিজ্ঞানে তৃতীয় সেরা। অথচ এশিয়ার সেই দেশেই এখন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং অংক- এই চার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পড়াশোনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। অবাক করা বিষয় হলো- এই কমার পেছনে মূল কারণ বিয়ে!
জাপানের প্রথম সারির এক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইউনা কাতো। প্রকৌলশাস্ত্র পড়ার জন্য পরিবারে এক অর্থে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। এখনও চলছে সেই সংগ্রাম। পরিবারের সবার ধারণা- এত কঠিন বিষয়ে পড়াশোনা করলে হয়ত পড়ার চাপে বিয়েই করা হবে না। অন্যদিকে ইউনার ভয়- বিয়ে হলে সন্তান হবে এবং সন্তান হলে তাকে বড় করতে গেলেই বাদ দিতে হবে পড়ালেখা।
এক সমীক্ষা বলছে, জাপানে এসটিইএম অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং অংক- এই চার বিষয়ে পড়াশোনায় মেয়েরা এত কম আসছে যে প্রযুক্তি খাতে নারী-পুরুষের ভারসাম্যহীনতা ব্যাপক হারে বাড়ছে। এ কারণে কর্মী ঘাটনতিও দেখা দিচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ অন্তত ৭ লাখ ৯০ হাজার কর্মীর ঘাটতি দেখা দেবে জাপানের প্রযুক্তি খাতে।
জাপানে মোট শিক্ষার্থীর ১৬ শতাংশ নারী। ধনী দেশগুলোর মধ্যে এই হার সবচেয়ে কম। বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী কম হওয়ার অন্যতম কারণও বিয়ে। সন্তান লালন-পালন করার স্বার্থেই নাকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্ব শুরু করার আগেই জাপানের অনেক মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রী বাড়াতে নারীদের জন্য কোটা রাখার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। ইউনা কাতোর টোকিও ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশেষ করে উল্লিখিতি চার বিষয়ে কোটাপদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান।
এই চার বিষয়ে পড়াশোনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে শতাধিক ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে জেন্ডার ইকুয়্যালিটি ব্যুরো। ওয়ার্কশপগুলোতে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন মাজদার মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা।
সয়াবিন আর ডিম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন দুর্দান্ত স্বাদের এই তরকারি
মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহী করতে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ আর টয়োটাও এগিয়ে এসেছে। মেধাবী মেয়েদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশলশাস্ত্র এবং অংকশাস্ত্রে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি দিচ্ছে তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।