জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাড়িতে ঢুকে রাবেয়া আক্তার নামে এক কলেজছাত্রীকে ছুড়িকাঘাতে হত্যা করেছে গৃহশিক্ষক। এসময় আহত হয়েছেন নিহতের মা ও ছোট বোন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গৃহশিক্ষক সাইদুল পলাতক।
সোমবার রাত ৮টার দিকে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম।
নিহত রাবেয়া আক্তার আবদুর রউফের মেয়ে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সাইদুল ইসলাম ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মহেশতারা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহতের ছোট দুই বোনকে কোরআন শিক্ষার জন্য অভিযুক্ত সাইদুল ইসলামকে গৃহশিক্ষক হিসেবে রাখেন তাদের বাবা। কোরআন পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়ার সুবাদে বড় মেয়ে রাবেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাইদুল। তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে পড়ানোর জন্য নিষেধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে।
পরে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান গেট খোলা দেখতে পেয়ে ঘরে ঢুকে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে রাবেয়ার মাথায়, গলায়,পায়ে ও হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক।
রাবেয়ার চিৎকারে মা ও ছোট বোন দৌড়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাবেয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
এ ঘটনার পর থেকে সাইদুল পলাতক রয়েছেন। একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।