জুমবাংলা ডেস্ক: মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের তাজনুর নামে এক যুবককে প্রেমিক দাবি করে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক তরুণী। সঙ্গে মাকেও সঙ্গে এনেছেন তরুণী।
এর আগে গত ২৩ মে এই তরুণী ওই যুবকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবিতে ১২ ঘণ্টা অনশন করেন। বিয়ে না দিলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল ছেলের পরিবারকে। যদিও ছেলের পরিবার তরুণী বাড়িতে আসার পরই বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল। পরে ছেলের প্রতিবেশীদের পরামর্শে সেসময় নিজের অভিভাবককে সঙ্গে আনতে বাড়ি চলে যান তরুণী। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা থেকে আসা মাকে সঙ্গে করে আবারও যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করতে থাকেন এই তরুণী।
এদিকে মা ও মেয়ের উপস্থিতি টের পেয়ে আগের মতো এবারও তাজনুরের পরিবার বাড়ি ছেলে চলে গেছে। শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশীরা তাজনুরের বাড়িতে ভিড় করছেন। ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়ির উঠানে চেয়ারে বসে আছেন।
এ বিষয়ে তরুণীর মা বলেন, আমি ঢাকায় গার্মেন্টসে সামান্য একটা কাজ করি। এই মেয়ের বাবার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় অনেক আগে। তার বাবা অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। তারপর থেকে আমিই ওর বাবা ও মা। এখন এই ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়েছে বলে আমি জানি। ছেলে আমার মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেছে। এখন আমার মেয়ে তাকে বিয়ে করতে বলেছে। কিন্তু ছেলে রাজি থাকলেও তার পরিবার রাজি না।
তিনি আরও বলেন, এর আগে আমার মেয়ে একা এসেছিল বিয়ের দাবিতে। এখন আমি এসেছি। তারা তখন কথা দিয়েছিল অভিভাবক আনলে তারা কথা বলবে। আমি তাই ছুটি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে এখানে এসেছি। এই বারান্দায বসে আছি কেউ কথা বলছে না। মেয়ের বিয়ে না দিয়ে আমিও এখান থেকে যাব না।
ওই তরুণী বলেন, ছেলে রাজি আছে বিয়ে করতে। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু তার বাবা -মা কেউ রাজি না। তারা আমাকে পছন্দ করে না। না করুক, আমার দরকার ছেলেকে। তারা বিয়ে দিলেই তো সব ঠিক হয়ে যায়। বিয়ে না দিলে এবার আমার মাও এখান থেকে যাবে না।
ছেলের চাচা বাবুল হোসেন অভিযোগ করেন, তারা বিয়ের দাবিতে এলেও সাগর নামে ছেলের এক চাচাতো ভাইকে ঢাকায় আটকে রেখেছেন। বিয়ে না দিলে সাগরকে তারা ছাড়বে না বলে জানিয়েছে। আমরা এবার খুব বিপদে পড়ে গেছি।
ছেলের চাচাত ভাই সাগরকে আটকে রাখার বিষয়টি মেয়ে ও তার মা স্বীকার করে বলেন, এই সাগর সবকিছুর জন্য দায়ী। সে সব জানে।
মেয়ের মা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে তার চাচাত ভাই তাজনুরের প্রেমের সম্পর্কে কতটা তা সেই সাগর জানে। আমাদের প্রমাণ সে। এজন্য তাকে ঢাকায় নিরাপদে আটকে রেখেছি। এখানে বিয়ে হলে তাকেও ছেড়ে দেবো।
মঘী ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তোরাব আলী মুঠোফোনে বলেন, আমি শুনেছিলাম এরকম একটা ঘটনা আমার এলাকায় ঘটেছে। একটা মেয়ে নাকি বিয়ের দাবিতে এলাকায় তার মা-সহ এসেছে। আমাকে যদি ডাকে তাহলে আমি সেখানে যাব।
এই ব্যাপারে কথা বলতে ছেলে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দিলে তারা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।