জুমবাংলা ডেস্ক : সমালোচনা যেনো পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ রেলওয়ের। রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ফোনে সম্প্রতি এক টিটিই’কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে আবার চাপের মুখে তার বরখাস্তাদেশ তুলে নিয়ে তাকে স্বপদে বহাল করা হয়। এ ঘটনায় জলঘোলা কম হয়নি।
এবার সেই জলে পাল তুলেছে নতুন এক টিকিটের ছবি। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভাইরাল ওই টিকিটে দেখা গেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামে বুকিং দেওয়া হয়েছে ওই টিকিট। ধুমকেতু এক্সপ্রেসে পুতিনের নামে গত ৫ মে বুকিং দেওয়া হয়েছে ওই টিকিট। যেখানে পুতিনের গন্তব্য দেওয়া হয়েছে রাজশাহী থেকে ঢাকা। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা রসিকতা।
এ নিয়ে নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে রবিবার স্ট্যাটাস দিয়েছেন রেলওয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। তার মতে, সরকারি সিস্টেম নিয়ে রসিকতা করার কোনো অবকাশ নেই। নিজের নাম গোপন রেখে যে কেউ অন্য নামে টিকিট কাটতে পারছে বাংলাদেশে, যা অন্য কোনো দেশে করা কঠিন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এমনটি অকল্পণীয়। এতে ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এবার তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তার মতে দুর্নীতি, অবহেলা এবং অদক্ষতার কারণে বাংলাদেশ রেলওয়েতে এখনো উন্নয়ন ঘটেনি। এই সেক্টরে কালো বেড়াল তাড়িয়ে যোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
এনিয়ে গোলাম রাব্বানী তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার দেওয়া স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো…
বাংলাদেশ রেলওয়ের যতটা আগানোর প্রয়োজন ছিলো, ততটা আগায় নাই জাস্ট দুর্নীতি, অবহেলা, অদক্ষতার কারণে। Mahbub Kabir Milon ভাইয়ের মতো যারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে রেলের উন্নয়নে জনবান্ধব কাজ করতে চেয়েছেন, তাঁদেরই সরিয়ে দেয়া হয়েছে!
এখনই সময়, রেলের কালো বিড়ালগুলো তাড়াতে হবে, ঝেটিয়ে বিদেয় করতে হবে। উপর থেকে নিচ, দুর্নীতির শেকড়বাকড় মূলসমেত তুলতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়, টিকিট কালোবাজারি, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, সরকারি ক্রয়ে মাত্রাতিরিক্ত মূল্য দেখানো সহ সব ধরনের দুর্নীতি ও জনভোগান্তি বন্ধ করতে হবে!
বাংলাদেশ রেলেওয়েতে করোনার পূর্বে “স্টান্ডবাই ” টিকেট দেয়া হত। হঠাৎ করোনার জন্য স্টান্ডবাই টিকেট বন্ধ করা হয়। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক, তাই দ্রুত স্টান্ডবাই টিকেট সিস্টেম চালু করা দরকার। জনবহুল এদেশে ট্রেনের সিটে বসে ১০০ জন গেলে দাঁড়িয়ে যায় কমপক্ষে ২০০ জন৷ ঈদ বা ছুটিতে চাপ পড়লে তো দরজায় বাদুড় ঝুলে, ছাদে শুয়ে বসে কি একটা অবস্থা হয়, সে চিত্র সবার দেখা!
স্টান্ডবাই টিকেট থাকলে যে টাকাটা উৎকোচ হিসেবে টিটিই বা রেল পুলিশ, আনসারের পকেটে যায়, সেটা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়বে, এর পরিমাণটা কিন্তু অনেক! স্টান্ডবাই টিকিটে প্রতিদিন গড়ে যদি নূন্যতম ২৫ হাজার জন যাতায়াত করে, প্রতি টিকিট মূল্য যদি গড়ে ১০০ টাকা ধরি, তাহলে প্রতিদিন রাষ্ট্রের উপার্জন ২৫ লাখ, মাসে ৭.৫০ কোটি, বছরে ৯০ কোটি টাকা, যা রেলের উন্নয়নেই ব্যয় করা যাবে।
আর নিরাপত্তা বা দুর্ঘটনাসহ যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে যাত্রীকে সঠিকভাবে ট্রেস করার জন্য সকল প্রকার টিকিট কাটতে অবশ্যই ন্যাশনাল ডাটাবেজ থেকে NID ভ্যারিফিকেশন আবশ্যক। রেল মন্ত্রণালয় কেন, ঠিক কি কারণে কার স্বার্থে এখনো NID ডাটাবেইজ এর সাথে কানেক্টেড হতে পারেনি, কেন নির্বাচন কমিশনের সাথে সমন্বয় করে এই অত্যাবশ্যক কাজটা করে নাই, আর ডিজিটাল বাংলাদেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের কেন নিজস্ব আইটি ডিপার্টমেন্ট নাই, একটু জানতে চাচ্ছি।
প্রয়োজনে TPB It এর আইটি এক্সপার্ট সদস্যগণ দেশের স্বার্থে রেলওয়েকে সকল প্রকার আইটি সাপোর্ট দেবে, সেবা হতে হবে নিরাপদ, নির্ভেজাল। অতিসত্বর তাদের ইতিবাচক সাড়া প্রত্যাশা করছি।
https://www.facebook.com/BrandRabbani/posts/10228840300740297
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।