আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইডলি হল একটি প্রাতঃরাশ বা ব্রাঞ্চ, যা হালকা হলেও বেশ স্বাস্থ্যকর। চাল দিয়ে তৈরি তুলতুলে এবং নরম এই খাবারটি দক্ষিণ ভারতে বেশ জনপ্রিয়। সাম্বার এবং চাটনির সাথে যখন এটি খাওয়া হয় তখন এর অনন্য স্বাদ জিভে জল এনে দেয়। এমনকি গাজর এবং ওটসের মতো সামগ্রীও ব্যবহার করা হয় এটি তৈরিতে। কিন্তু আপনি কি কখনও কালো ইডলি তৈরির চেষ্টা করেছেন? ভারতের নাগপুরের একটি খাবারের দোকান নাকি ৫০-১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এই কালো কুচকুচে ইডলি।
কুমার এস রেড্ডি, যার কালো ইডলি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে তিনি জানাচ্ছেন -”যখন ২০১৫ সালে, আমি বাজারের ইডলি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করি, তখন আমার এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন ইডলি শুধুমাত্র সাদা বা গোলাপী (গাজর ব্যবহার করে তৈরি) হওয়া উচিত। তিনি আমাকে কালো ইডলির মতো অনন্য কিছু তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যা আমি তখন অসম্ভব বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু তার কথাগুলো আমাকে ভাবতে বাধ্য করলো। ”অস্বাভাবিক কিছু নিয়ে পরীক্ষা করার এই ধারণাটিই রাস্তার ধারের ব্যবসা শুরু করতে প্ররোচিত করেছিল রেড্ডিকে। অল অ্যাবাউট ইডলি (AAI)- নামে পরিচিত মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জনপ্রিয় এই দোকানে আজ ৪০ টিরও বেশি নানা ধরণের ইডলি তৈরি হয়। যে গুলি দেশের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
বছর একচল্লিশের কুমার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস.কমকে জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে স্কুইড ডিম দিয়ে ইডলি তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শীঘ্রই এই ধারণাটি বাদ দেন কারণ তার অনেক গ্রাহক নিরামিষাশী ছিলেন।
তারপর ভোজ্য কালো রং ব্যবহার করে ঐতিহ্যবাহী উপায়ে ইডলি নিয়ে পরীক্ষা করা শুরু করেন। তখনই তিনি জানতে পারেন যে কীভাবে পূর্বপুরুষরা ইডলি তৈরি করতেন কিন্তু সেই প্রক্রিয়াটি এতটা পরিচিত নয়। বিষয়টি জানার পর তিনি নারকেলের খোসা, কমলার খোসা, বিটরুট জুস এবং বিটরুট পাল্প ব্যবহার করে ইডলিতে রং ব্যবহার করা শুরু করেন। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ ক্লান্তিকর।
কুমার রেড্ডি জানাচ্ছেন, ”আপনাকে উপাদানগুলি শুকিয়ে নিতে হবে এবং তারপরে, কালো রং আনার জন্য সেগুলিকে পোড়ানোর পরিবর্তে, এক থেকে দেড় ইঞ্চি তাওয়াতে তেল ছাড়াই সেগুলিকে ভাজতে হবে। তাই সমস্ত উপাদান প্রাকৃতিক, এবং কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। এক ধরনের প্রাকৃতিক সক্রিয় চারকোল ইডলি তৈরির জন্য রাভা বা সুজির সাথে মেশানো হয়।’ যদিও গর্ভবতী নারীদের কালো ইডলি না খাবার পরামর্শ দেন কুমার।
তিনি বলেন, ”গর্ভবতী নারীদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছি কারণ আমি চাই না যে তারা ইডলি খাওয়ার পরে কোনও অস্বস্তি অনুভব করুক।”
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।