ধর্ম ডেস্ক : রোজা একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন সুস্থ ব্যক্তির উপর রোজা রাখা ফরজ। শারীরিকভাবে রোজা পালনে সক্ষম ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। রোজার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিধি-বিধান। রোজা সঠিকভাবে রাখতে অবশ্যই মাসআলা মাসায়েল সম্পর্কে জানতে হবে।
আমরা জানি, স্বাভাবিক প্রবেশ পথ দিয়ে পেটে বা মস্তিষ্কে কোনও কিছু প্রবেশ করলে রোজা ভেঙে যায়। শরীর থেকে কোনও কিছু বের হলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তাই দুর্ঘটনা বা অন্য কোন কারণে হাত-পা কেটে রক্ত পড়লে রোজা ভাঙবে না। রক্ত গড়িয়ে পড়লে অজু ভাঙ্গে, রোজা ভাঙ্গে না। (বোখারি শরিফ ১৯৩৮, মুসলিম ১১০৬, আবু দাউদ ২৩৭২, বায়হাকি ৩৯৬০)
রোজার রয়েছে অসংখ্য অগণিত ফজিলত। রোজা পূর্বের উম্মতদের উপরও ফরজ ছিলো। আমাদের উপর ফরজ করে আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেন, হে ঈমাদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করতে পারো’ (সুরা: বাকারা-১৮৩)।
অন্য এক আয়াতে বলেন, রমজান মাস এমন মাস, যার ভেতর কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের পথপ্রদর্শক এবং সত্য পথ প্রদর্শনের ও সত্য-মিথ্যার প্রভেদ করার স্পষ্ট নিদর্শন। তোমাদের মধ্যে যে রমজান মাস পায়, সে যেন তাতে রোজা রাখে। (সুরা: বাকারা-১৮৫)।
হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন তোমরা (রমজানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোজা রাখবে আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোজা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে ত্রিশ দিন রোজা রাখবে। (বুখারি ১৯০৯, মুসলিম ১০৮০)
আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজার প্রতিদান আমি নিজেই দেবো, কেননা তা একমাত্র আমার জন্য। আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পানাহার পরিত্যাগ করেছে। (মুসলিম ১১৫১, মুসনাদে আহমদ ৯৭১৪, সুনানে ইবনে মাজাহ ১৬৩৮)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।