বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : যদি রাতের আকাশ পরিষ্কার এবং দূষণমুক্ত থাকে তাহলে আমরা চাঁদকে স্পষ্টভাবে দেখতে পাই। তবে ব্লাড মুন দেখতে হলে আপনাকে একটি ধৈর্য্য রাখতে হবে। একে সঠিকভাবে যদি দেখতে হয় তাহলে খুব বেশিদিন আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না।
চলতি বছরের ১৩ বা ১৪ মার্চ পৃথিবীকে এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য উপহার দিতে যাচ্ছে একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এটি বিশ্বব্যাপী ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তিম চাঁদ হিসেবে পরিচিত। এই মহাজাগতিক ঘটনা একটি সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো ঘটবে এবং এর মধ্যে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে পুরোপুরি ঢেকে গিয়ে রক্তিম বর্ণ ধারণ করবে। এই সময় চাঁদে লালচে আভা দেখা যাবে, যা বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
ব্লাড মুন, বা রক্তিম চাঁদ, যখন দেখা যায় তখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে পুরোপুরি ঢুকে যায়। পৃথিবী যখন সূর্যের এবং চাঁদের মধ্যে অবস্থান করে, তখন সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত হয় এবং বায়ুমণ্ডল তার মধ্য দিয়ে সূর্যালোককে প্রতিফলিত করে। এই বায়ুমণ্ডল সূর্যের আলোকে এমনভাবে ছেঁকে ফেলে যে কেবল লাল অথবা কমলা রঙের আলোই চাঁদের দিকে পৌঁছায়।
১৩ বা ১৪ মার্চ এই ব্লাড মুন চন্দ্রগ্রহণের দৃশ্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেখা যাবে। বিশ্বব্যাপী এই দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। বিশেষত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং চিলি থেকে এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ সম্পূর্ণরূপে দেখা যাবে। এই সময় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একরকমভাবে সারিবদ্ধ হয়ে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে চাঁদ পুরোপুরি ঢুকে যাবে।
এটি একটি বিরল এবং চমকপ্রদ মহাজাগতিক ঘটনা যা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিপুল সংখ্যক মানুষকে আকর্ষণ করবে। বিশেষ করে আকাশপ্রেমী এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই বিরল দৃশ্য উপভোগ করতে মুখিয়ে থাকবেন। এর আগে, এই ধরনের ব্লাড মুন চন্দ্রগ্রহণ ২০২২ সালের পর থেকে দেখা যায়নি, তাই ২০২৫ সালের চন্দ্রগ্রহণটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।