জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এ ঘটনায় ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চার শতাধিক। তাদের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। কথা বলেছেন অনেকেই।
মর্মান্তিক এই ঘটনার নিয়ে কথা বলেছেন পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার ও নির্মাতা-প্রযোজক সানী সানোয়ার। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘নীল ড্রামগুলো অনেকদিন ধরেই আমাদের যন্ত্রণার কারণ।
বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু জঙ্গি আস্তানা থেকে এ রকম অসংখ্য নীল ড্রাম উদ্ধার হয়েছে। এই নীল ড্রামের হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দিয়ে জঙ্গিরা বিস্ফোরক বানাতো। অথচ, এগুলো নানা ধরনের শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কিছু অসাধু সরবরাহকারী এবং শিল্পসংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যক্তি এ রকম বেশ কিছু কেমিক্যাল (যেমন-অ্যাসিটোন, এইচএমডিটি, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার প্রভৃতি) ব্যাকডোরে সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করে দিতো।
এই অপরাধে ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে এটা ঠিক, এক্সপ্লোসিভ প্রি-কারসার হিসেবে যে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বা উল্লিখিত কেমিক্যাল কম্পাউন্ডগুলো ব্যবহৃত হতে পারে এটা অনেক ব্যবসায়ীর অজানা। তেমনি অনেকেই অজ্ঞ কিংবা অসতর্ক ছিল এগুলোর নিরাপদ সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে। তবে তাদের এই অজ্ঞতা কিংবা অসতর্কতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।’
সব মিলিয়ে কেমিক্যাল ব্যবসা ও সংশ্লিষ্ট শিল্পের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তির অসততা, অসতর্কতা এবং অযোগ্যতা একটি বুবি ট্র্যাপ (গোপন বোমা) হয়ে আমাদের মাঝে বিরাজ করছে। এটি মাঝে মাঝে বিস্ফোরিত হয়ে আমাদের জানিয়ে দেয় আমরা কতটা অসতর্কতা, অসাধুতা আর অদক্ষতা নিয়ে নানা রকম পেশায় নিয়োজিত আছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।