বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে ব্লুটুথ এর উদ্ভাবন হয়েছিল। এটি শুরু থেকেই বেশ জনপ্রিয়তা পায় এবং বর্তমানে এর চাহিদা কতটা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে, হেডফোন, গেমিং কন্ট্রোলার বিভিন্ন প্রযুক্তির কাজে ব্লুটুথের ব্যবহার হয়। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা দুটি ডিভাইসকে সংযুক্ত করে।
কিন্তু আপনি কি জানেন এর নাম ব্লুটুথ কেন রাখা হয়েছে? আসলে এর পিছনে রয়েছে এক রাজার কাহিনী, যার নাম অনুসারে ব্লুটুথ রাখা হয়েছে। যদিও ওই রাজার সাথে কোন প্রযুক্তির সম্পর্ক নেই। ব্লুটুথ নামের ধারণাটি সর্বপ্রথম দিয়েছিলেন জিম কর্দাচ, যিনি ব্লুটুথ উদ্ভাবন দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন
জিম কর্দাচ একবার ইতিহাস বইতে এক রাজার সম্পর্কে পড়েছিলেন, যার চরিত্র তাকে অনুপ্রেরণা করেছিল এবং সেই হিসেবেই এই প্রযুক্তির নামকরণ হয় ব্লুটুথ। ১০ শতকের ডেনমার্কের রাজা হ্যারাল্ড ব্লুটুথ (Harald Bluetooth) এর নামানুসারে ‘ব্লুটুথ’ রাখা হয়। আসলে তিনি স্ক্যান্ডেনেভিয়া রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য বেশ বিখ্যাত ছিলেন।
ব্লুটুথ এর মাধ্যমে আমরা যেভাবে একে অপরের ডিভাইসগুলো সংযুক্ত করি, এভাবে রাজা হ্যারাল্ড ব্লুটুথ বহু রাজ্যকে একত্রিত করেছিলেন। স্ক্যান্ডিনেভিয়া রাজ্যের মধ্যে ছিল ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেন। এই কারণে জিম কর্দাচ এই প্রযুক্তির নাম ‘ব্লুটুথ’ রাখার প্রস্তাব দেন।
এমনকি ব্লুটুথ এর আইকনটি ভালো করে লক্ষ্য করলেও বুঝতে পারবেন অর্থাৎ ডেনিস অক্ষর অনুযায়ী ‘H’ এবং ‘B’ রয়েছে। ওই যার নামের আদ্যঅক্ষর ব্যবহার করেই বানানো হয়েছে। তবে রাজা হ্যারাল্ড ব্লুটুথের সম্পর্কে এও জানা যায় যে তার একটি দাঁত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যে কারণে ওই দাঁতটি নীল রঙের দেখাত। এই কারণেও নাকি রাজার নামানুসারে ‘ব্লুটুথ’ রাখা হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।