জুমবাংলা ডেস্ক : সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ করতাম। দলের সঙ্গে থাকতে থাকতে মনে হয়েছে, পার্টি করতে হলে পার্টির পক্ষে থাকতে হবে, দলীয় প্রধানকে তেল মারতে হবে, সব কথা বলা যাবে না। এক কথায় বর্তমান রাজনীতিতে এটা স্বাভাবিক বিষয়।
তাছাড়া ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট করতে যাচ্ছে তখন আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনিনি। তখনই মনে হয়েছিল, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট করার কারণে আজ অথবা আগামীতে আওয়ামী লীগকে পালাতে হবে। ফলে আমি পালাতে পারব না। এজন্যই সেই নির্বাচনে অংশ নিইনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।
সম্প্রতি ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দিন টকশোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিল না। পরে বিএনপি মনোনয়ন দিল। এখন মনে হয়, আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মতো দল যদি কাওকে প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তার জন্য চরম অপমানজনক হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না কেনাটা সহজভাবে নেয়নি আওয়ামী লীগ। আবার ২০১৮ সালে বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে; এটা যে আমার উপকার করেছে তা বিশ্বাস করি না। শেখ হাসিনাকে অপমান করা বা তার দল থেকে একজনকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমাকে বিএনপি ব্যবহার করেছে। এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে ওইভাবেই আছি। ২০০৯ সাল থেকে যেভাবে কথা বলে আসছি অদ্যাবধি সেভাবেই কথা বলছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি বলেন, এই সরকার প্রথম থেকে ভুল করে আসছে। তারা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যেভাবে একটা সমঝোতা করা দরকার ছিল সেটা এই সরকার করেনি। প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগকে রিফিউজ করেনি এই সরকার। এক সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে ওই দিনই নিষিদ্ধ করে দিলে এতো আলোচনা সমালোচনা হতো না।
বিএনপি কি আপনাকে ত্যাগ করেছে, না বিএনপিকে আপনি ত্যাগ করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রনি বলেন, বিএনপি আমাকে ব্যবহার করেছে। যেহেতু আমার একটা পরিচিত ফেস ছিল। আমি কোনো সভা সমাবেশে যোগ দিতাম না। কারণ হচ্ছে, আমি সমাবেশে যোগ দিলে ছাত্রলীগ হামলা চালাতে পারে এবং সভাটি পণ্ড হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়টি তারেক রহমানকেও অবগত করে রেখেছিলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।