জুমবাংলা ডেস্ক : আগামীকাল শনিবার দুপুর আড়াইটায় বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক-পরবর্তী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপের প্রথম দিন বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ পরে হবে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশনের মধ্যে পাঁচটি চূড়ান্ত করেছে এবং যেকোনো সময় সেটি ঘোষণা করা হবে। একটি কমিশন এখনো চূড়ান্ত হয়নি, কারণ কয়েকজন সদস্য এখনো সম্মতি জানাননি। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশ থেকে ছয় রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর মধ্যে দুজন হাইকমিশনার এবং চারজন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে ফেরত আসতে বলা হয়েছে। তাঁরা আগামী ডিসেম্বরে অবসরে যাবেন।
ভুল তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান : অন্তর্বর্তী সরকার বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী জানিয়ে ভুল তথ্যের বিষয়ে সতর্ক হতে সংবাদমাধ্যমগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রেস সচিব বলেন, ‘ডিসি নিয়োগে অর্থ লেনদেনসংক্রান্ত যে সংবাদ দৈনিক কালবেলা প্রকাশ করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আমরা এটা খতিয়ে দেখছি।
রিপোর্টটি কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের পত্রিকাগুলোর আলোকে বলতে পারি, অমরা ফ্রিডম অব স্পিচে বিশ্বাস করি। আশা করব, নিউজ প্রেজেন্টেশনে কোনো ধরনের মিস ইনফরমেশন যেন না ছাড়ায়। এ ঘটনায় একটি হাই লেভেল কমিটি হবে। এতে কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিককেও এনগেজ করছি।
এই রিপোর্ট ঠিক ছিল নাকি সেটাও দেখছি এবং এই রিপোর্টের আলোকে আমরা স্টেপ নিচ্ছি।’ তিনি বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টামণ্ডলী ও কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের বিষয়ে তাত্ক্ষণিক এবং লাস্টিং একটা স্টেপ নেন। আমার মনে হয়, সামনে ভালো কিছু পদক্ষেপ দেখবেন। আমরা আশা করি, এতে বিক্ষোভ শেষ হবে।’
এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বার্ষিক ১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার কথাও জানান তিনি। প্রেস সচিব বলেন, ‘গত ১৫ বছর যারা সরকারের কাছের ছিল, এই সরকার চায় না তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকুক।’
মালদ্বীপের কারাগারে আটক বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ : মালদ্বীপের কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য বন্দিদের স্থানান্তরের বিষয়ে মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তির খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা পরিষদের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন দেশে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বা সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিজ দেশে সাজা ভোগ করার সুযোগ প্রদানের জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি সম্পাদন করা হয়ে থাকে। ওই চুক্তির আওতায় চুক্তিবদ্ধ দেশে বিভিন্ন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিজ দেশে সাজা ভোগ করার সুবিধাপ্রাপ্ত হন। বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমানে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের এই চুক্তি রয়েছে।
এ ছাড়া পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত, বাংলাদেশ ও কাতার সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব এবং রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭-এর খসড়ার অনুমোদন : অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অনুসরণ করে বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। এই ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।