জামায়াতের সভায় বিএনপির হামলা, আহত ২০

Mirpur

জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

Mirpur

রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে কিছু দিন ধরে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুজনেই কমিটির আহবায়ক প্রার্থী ছিলেন। অ্যাডহক কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে জামায়াতের আমির মুকুলকে চাপ সৃষ্টি করছিলেন বিএনপি কর্মী নাসির। এ নিয়ে শনিবার রাতে মুকুলকে হুমকি দেন নাসির।

হুমকির প্রতিবাদে রোববার বিকাল ৩টার দিকে বুড়াপাড়া স্কুল মাঠে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা সেখানে গেলে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হওয়ার একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের উদ্ধার করে ৮ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, নাসির এক সময় ছাত্রদল নেতা ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কর্মী। তবে ঘটনাটি যেহেতু স্থানীয় দুই পক্ষের তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন জামায়াতের আমিরের নাম দেওয়া হয়েছিল। অথচ বিএনপি নেতা নাসির তাকে নাম তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছিল। এরই প্রতিবাদে সমাবেশ করার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালান। হামলায় আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হাসান ইমাম বলেন, হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ গুরুতর। প্রত্যেকের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।