জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আশা রাখছি সামনের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা নির্বাচন হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের আশাগুলো পূরণের সুযোগ হবে।’ গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১০ মাসে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তাতে আমরা একটু সন্দিহান হয়ে পড়েছিলাম যে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে।
আমরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হয়েছি, আশ্বস্ত হয়েছি। যখন দেখলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস একটা সভা করলেন। সভায় তাঁরা কতগুলো বিষয়ে একমত হলেন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের সবার কাছে আশা এনে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে।…আমাদের পথ দেখাচ্ছে। আমরা আশা করব, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, সবাই মিলে তাদের সহযোগিতা করব। এখন সংস্কারকাজ এগিয়ে চলছে, কতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কতগুলো বিষয়ে একমত হচ্ছে না।
যতগুলো বিষয়ে আমরা একমত হব, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। আর যেগুলোতে একমত হওয়া যাচ্ছে না, সেগুলো নিয়ে নির্বাচনের পর সংসদে আমরা আলোচনা করব। সেগুলোতে আমরা একমত হব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ পত্রিকায় একটা খবর দেখে মনটা একটু খারাপ হয়েছে। সুইস ব্যাংকে অনেক টাকা জমা হয়েছে। আমি জানি না এই টাকাগুলো কাদের, কবে, কিভাবে জমা হয়েছে। এই খবরটা পড়লেই প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের মনে হবে, তাহলে কি কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু আমাদের সম্পদ লুটে নিয়ে গেছে সেই মাফিয়ারা, ফ্যাসিবাদীরা।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।