বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এনইআইআর নীতিমালা রিভিউ করবে : আমীর খসরু

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নীতিমালা সব অংশীজনদের নিয়ে রিভিউ করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এনইআইআর বাস্তবায়ন কাঠামো, জাতীয় স্বার্থ ও নাগরিক উদ্বেগ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন সেন্টার ফর টেকনোলজি জার্নালিজম।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘স্মার্টফোন আজ মৌলিক প্রয়োজন, সেবা গ্রহণ, ক্যাশলেস অর্থনীতি বা সরকারি সেবার ক্ষেত্রেও স্মার্টফোন ছাড়া চলা যায় না।

কিন্তু বর্তমানে এই পণ্যটি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ডিজিটাল বাংলাদেশের এত বক্তৃতার পরও মানুষকে সাশ্রয়ী দামে স্মার্টফোন দিতে না পারা একটি বড় ব্যর্থতা। ৬৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুফল আদৌ জনগণের কাছে পৌঁছেছে কি না, সেটাও প্রশ্ন।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক সরকারের প্রথম দায়িত্ব হওয়া উচিত স্মার্টফোনের ওপর অযৌক্তিক ট্যাক্স কমানো।

ট্যাক্স কমালে রাজস্ব কমে না, বরং বাড়ার সুযোগ থাকে, কারণ ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা বাড়ে। এ জন্য স্মার্টফোন আমদানি বা স্থানীয় উৎপাদন, সব ক্ষেত্রে ট্যাক্স নীতি হতে হবে ভোক্তাবান্ধব এবং ন্যায়সংগত।’
আমীর খসরু বলেন, ‘যারা অ্যাসেম্বল করে, তারা ইমপোর্ট নিয়ন্ত্রণ করে মনোপলি তৈরি করবে। এটা বিপজ্জনক।

তাই এই নীতি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটা রিভিউ করবে। সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বসে প্রয়োজনমতো পরিবর্তন আনা হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের নীতি হতে হবে মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কেউ যাতে অযৌক্তিক পৃষ্ঠপোষকতা না পায় এবং সব ব্যবসায়ী সমান সুযোগ পায়। বিএনপি অর্থনীতির গণতন্ত্রায়নের পক্ষে।

অর্থনীতিতে প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এনইআইআরের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে। নির্বাচিত সরকার এনইআইআরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

কান ধরে কেন ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী?

গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টারের (বাক্কো) সেক্রেটারি ফয়সল আলিম, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম, বেসিসের সহায়ক কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান রাফায়েল কবীর, দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. সায়েম ফারুকী, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন নয়ন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান প্রমুখ।