সাইফুল ইসলাম : মানিকগঞ্জ-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী ডা. আবু বকর সিদ্দিকের নির্বাচনী প্রচারণা অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে শিবালয় উপজেলার বরংগাঈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডা. আবু বকর সিদ্দিকের ভাই মো. আব্দুর রফিক বাদী হয়ে রাতে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ বিএনপি নেতা আব্দুল আলিম (৪৮)-কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আলিম শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরংগাঈল গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এসএ জিন্নাহ কবিরের ঘনিষ্ঠ অনুসারী।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর পরিবারের ৭ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। শনিবার বিকেলে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আলিম ও তার ভাই আব্দুল হকসহ কয়েকজন বাদীকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বাদী কাগজপত্র দেখালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ডা. আবু বকর সিদ্দিকের নির্বাচনী প্রচারণা অফিস ভাঙচুর করে চলে যান।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতরা এলাকায় পরিচিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমি ঘটনার নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
শিবালয় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বলেন, “এজাহারের ভিত্তিতে আসামি আব্দুল আলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় এসএ জিন্নাহ কবির বলেন, বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করতে প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে জামায়াত নেতা এই কাজ করেছে। প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে মামলার রুজু করা হয়েছে। আপষের কথা বলে থানায় ডেকে নিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, এটা মোটেও কাম্য নয়। এটা স্পষ্ট আইনের অপব্যবহার। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।