সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে ‘জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল- জেটিআই’ বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়্যারহাউজে শ্রমিকদের প্রবেশে বাধা দিয়েছে বিএনপির নেতা আতাউর রহমান আতার অনুসারীরা। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা এবং আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগের ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণ নিতে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
শনিবার (০৩ মে) সকাল ৯ টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গোলড়া এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আতাউর রহমান আতা মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা আবুল কালাম, সদস্য ফরিদুজ্জামান ফরিদ, সদর উপজেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, জাগীর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবু, সদর উপজেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাজলু, সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান রবিনসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী শনিবার সকালে জেটিআই ওয়ারহাউজে শ্রমিকদের প্রবেশে বাধা দেন। যারা সবাই বিএনপি নেতা আতাউর রহমান আতার অনুসারী।
জানা গেছে, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা, আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগসহ ওয়্যার হাউজ পরিচালনার যাবতীয় কাজ আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে করে আসছিল জাকির ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। জাকির ট্রেডার্সের সঙ্গে জেটি ইন্টারন্যাশনাল চুক্তি বাতিল করলেও নতুন করে চট্টগ্রামের এক ভেন্ডারকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে আগের সকল চুক্তি বাতিল করে বিএনপিপন্থি ভেন্ডার এম এস ট্রেডার্সের সঙ্গে নতুন চুক্তির দাবিতে ওয়ারহাউজে শ্রমিকদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।
শ্রমিক প্রবেশে বাধা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আতাউর রহমান আতা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর জাকির চেয়ারম্যান সেখানকার ঠিকাদারি করেছে। পট পরিবর্তনের পর আমাদের বিএনপির লোকজনকে কাজ দেয়ার কথা ছিল। কিন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের কমিটমেন্ট রাখেনি। তারা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের এক ভেন্ডরকে কাজ দিয়েছিল। এ কারণে আমাদের ছেলেরা কাজ চাইতে গিয়েছিল। শ্রমিক প্রবেশে বাধা দিয়েছিল পরে সেটা সমাধান হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জেটিআইয়ের ইনচার্জ সাইদুজ্জামান বলেন, লেবারদের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করতে না দেয়ায় স্থানীয় যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আউটসোর্সিংয়ের ঠিকাদারি, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা করতে আগ্রহী। আমরাও তাদের নিয়মমাফিক অফিসিয়াল প্রসিডিওর মেইনটেইন করে ভেন্ডার লাইসেন্স জমা দিতে বলেছি। তারা কাজ করলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে কোন সমস্যা নেই। তবে প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের প্রবেশ করতে না দেয়ার মতো ঘটনা কাম্য নয়। পুলিশ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার পরপরই সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমান উল্লাহ বলেন, টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। আমরা দ্রুত এ সংকট সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।