সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আজাদ হোসেন বাদী হয়ে গতকাল রোববার মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগনিক সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, যুবলীগ নেতা জুয়েল ভুইয়া, মাহিদ, সানি, অভিজিত সরকার, ইমন, শুভ, মতিন, হৃদয়, আবু সাইদ, পূর্ণ ও আবুল কাশেম।
মো. আজাদ হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীরা একাত্মতা ঘোষণা করেন। এর প্রক্ষিতে গত ১৮ জুলাই মানিকগঞ্জ খালপাড় এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা যোগ দেই। সেদিন মামলায় উল্লেখিত আসামীরাসহ আরো ১০০/১৫০ জন ছাত্রদের আন্দোলনে ছাত্র ও বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল, শর্টগান, এ কে ৪৭, রাম দা, ছ্যান, চাপাতি, সামরাই, চৌশিরা কাঠের বাটামসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। আসামী সিফাত কোরাইশী সুমন তার হাতে থাকা শর্টগাণ দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে পরবর্তী ২য় রাউন্ড গুলি বের না হলে সিফাত কোরাইশী সুমন আরেক আসামী অভিজিত এর হাতে থাকা কাঠের বাটাম দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে বারি মারে। ঘটনার সময় আসামীদের প্রায় সকলের হাতেই অস্ত্র ছিল।
মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপ্নন কুমার সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা রুজু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।