মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন) সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তিন যুবদল কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে হামলার বিষয়টিকে ‘শাসন’ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সন্ধ্যার পর কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে বসে সময় কাটাচ্ছিল স্থানীয় তিন যুবদল কর্মী রনি, রুবেল ও অনিক। এসময় ১৪ থেকে ১৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি অফিসে থাকা চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে এবং তিন যুবদল কর্মীকে মারধর করে আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ওই তিন যুবদল কর্মীকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
হামলা নয়, শাসন করা হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার মেয়ে কলেজে পড়ে। রনি আমার মেয়েরে ফোনে বার বার মেসেজ ও কল দেয়। দুই দিন আগে তার বাবাকেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম এবং শাসন করেছিলাম। কিন্ত তারা সেই শাসন না মেনে আজ ২০-২৫ জনকে নিয়ে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে ঘুরোঘুরি করছিল। পরে এলাকার কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে আবারও একটু শাসন করেছি।
বিএনপি কার্যালয়ে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি বোকা নাকি? আমি কেন একটি দলের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালাবো? এটা মিথ্যা কথা। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই তারা রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোশতাক হোসেন দীপু বলেন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও তিন যুবদল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা খুব দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি। সেখানে আমাদের ফোর্স পাঠানো হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।