সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদরের তিনটি ইউনিয়ন) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারী) দুপুরে সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপের নিজ বাসভবনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম এবং সিংগাইর উপজেলার বাইমাইলে নিজ বাসভবনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ বেগম বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বার বার আচারণবিধি লঙ্ঘন করে আসছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু এবং তার কর্মীরা। আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি জাহিদ আহমেদ টুলুকে দুইবার শোকজ করেছিলেন। আচারণবিধি লঙ্ঘন না করার শর্তে দুইবার তিনি (জাহিদ আহমেদ টুলু) মুচলেকা দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে ভোটারদের টাকা ও বিভিন্ন ধরনের উপঢৌকন দিয়ে আসছে। সম্প্রতি স্বতন্ত্রপ্রার্থীর এক কর্মীকে ভোটারদের দেয়ার জন্য মজুদকৃত উপঢৌকনসহ (সাবান) আটক করে এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির নিদের্শ যেহেতু তিনি (স্বতন্ত্রপ্রার্থী) অমান্য করে আচারণবিধি লঙ্ঘন করে আসছে। সুতরাং সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর প্রার্থীতা বাতিল করা উচিত। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বর্পূণ নেতারা স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে এবং নৌকার কর্মীকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন।
অপরদিকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু বলেন, মমতাজ বেগমের লোকজন বিভিন্ন সময় আমার কর্মীদের নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমার কোন কর্মীকে কাউকে টাকা দেয়নি। আমি প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছে যাই এবং ভোট চেয়ে আসছি। তবে যদি কোন কর্মী কাউকে টাকা বা কোন উপঢৌকন দিয়ে থাকে, তাহলে সেটা ঠিক হয় নাই। তাছাড়া এত বড় আসনে তো সকল কর্মীর খোঁজ রাখা সম্ভব না। তারপরও সকল কর্মীকে আচারণবিধি লঙ্ঘন না করতে বার বার সতর্ক করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশিনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনকে অংশগ্রহণ মূলক ও স্বর্তস্ফুর্ত করার জন্য আমি এবং আমার কর্মীরা কাজ করছি। বরং নৌকার প্রার্থী ও তার কর্মীরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আমার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলন জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত রাতে সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের উত্তর গোলাইডাঙ্গা এলাকায় আচারণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের জন্য সাবান মজুতের অপরাধে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মী আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এরআগে,গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর সিংগাইর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আঙ্গারিয়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় খিচুড়ির আয়োজন করায় মমতাজের এক কর্মীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।