বিনোদন ডেস্ক: একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ববিতা। পরবর্তীতে যিনি ভাবী এবং মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেও খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু বহুদিন পর্দায় দেখা নেই এই গুণী অভিনেত্রীর। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ববিতা জানালেন, ভালো গল্প আর চরিত্রের অভাবেই তিনি বহুদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে।
সেইসঙ্গে ফেরার ইঙ্গিতও দিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ববিতা। বলেন, ‘ভালো গল্প ও মনের মতো চরিত্রের অপেক্ষায় আছি। পেলেই অভিনয়ে ফিরব। কয়েকজন নির্মাতার পাঠানো চিত্রনাট্য পড়েছি। কয়েকটি গল্প পছন্দও হয়েছে। সেগুলো বিবেচনায় রেখেছি। সবকিছু মনের মতো হলে যে কোনো সময় অভিনয়ে ফিরতে পারি।’
এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের ‘গলুই’ ও সিয়াম আহমেদের ‘শান’ ছবি দুটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ববিতা বলেন, ‘ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো ভালো সাড়া পেয়েছে জেনে ভালো লেগেছে। আসলে ভালো গল্পের ছবি পেলে দর্শক যে প্রেক্ষাগৃহে আসে, এটি তারই প্রমাণ। চলচ্চিত্রের সুদিন ফেরাতে মানসম্মত ছবির বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে অনেক ভালো ছবি নির্মাণ হয়েছে এবং কিছু দর্শক দেখেছে, পুরস্কারও পাচ্ছে। তারপরও যতটুকু জানি ছবিগুলো তেমনভাবে মুনাফার মুখ দেখছে না। যদি ব্যবসায়িক সাফল্য পেত তাহলে আরও ভালো লাগত। পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি ছবির ব্যবসায়িক সাফল্যও চাই। একটা ছবির পেছনে লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত আনতে হবে। না হলে নির্মাতা ইনভেস্ট করবেন কেন?
চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থার পেছনে দায়ী কারা? ববিতা বলেন, আসলে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে সিনেমার ব্যবসাটা চলে গেছে। আমাদের শিল্পীরা ভালো অভিনয় করছেন; সব ঠিক আছে কিন্তু ভালো গল্প তো নেই। আজকাল যেন মনে হয় ‘সে’ক্স’ ও ‘ভায়ো লেন্সের’ দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। একি হচ্ছে! আমাদের সময়ে শাবানা আপা, কবরী আপা, সুচন্দা আপাদের কি সিনেমা চলেনি? আমরাও আধুনিক পোশাক পরেছি, কিন্তু শালীনতা বজায় ছিল। খোলামেলা পোশাক দেখে মা-খালারা বলেন, সিনেমা হলে বাচ্চাদের নিয়ে যাব না; এমন কথাও শুনেছি।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, যুগের সঙ্গে তাল মেলাতেই এমন উপস্থাপনা- ববিতা বলেন, হলিউড-বলিউডের পোশাকের সঙ্গে যদি আমি নিজেকে মেলাই তাহলে তো হবে না। তাই না? আমার আগে দেখতে হবে, আমি কোন দেশের মানুষ, আমাদের ধর্ম আর সংস্কৃতি কেমন। যেমন ভারতের ছবির পোশাকের ব্যাপারেই বলি, ওই সব পোশাক কিন্তু আমাদের জন্য নয়। তাই যুগের সঙ্গে এমন তাল মেলানোর কোনো অর্থ হয় না, যা করতে গিয়ে অধিকাংশ দর্শক পরিবার নিয়ে ওই ধরনের ছবি দেখতে সিনেমা হলে যেতে বিব্রতবোধ করে। তাই নিজ দেশের কৃষ্টি-কালচারের দিকে নজর দিয়ে ছবি নির্মাণ করলেই সেই ছবি দেখতে সপরিবারে দর্শক সিনেমা হলে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।