সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : নিখোঁজের ৬দিন পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে যানবাহন নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার সহাকরী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের ১৩ কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বাহাদুরপুর এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বাহাদুরপুর এলাকায় চলাচলকারী বাল্কগেট চালকেরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে ফোন দেয় এবং লাশের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্প্রীডবোর্ড নিয়ে লাশের কাছে যায়। এরপর লাশের ছবি তুলে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয় এবং ডুবে ফেরি রজনীগন্ধার সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবিরের লাশ বলে বিআইডব্লিউটিসি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর পুলিশ ও বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে মরদেহ হস্তার করা হবে। পরে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবাহন করপোরেশনের (বিআইডবিøউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা, রুস্তম ও প্রত্যয় মিলে গত ৬দিনের ডুবে যাওয়া ৯টি যানবাহনের মধ্যে ৫টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ফেরি রজনীগন্ধা ও ডুবে যাওয়া আরো ৪টি যানবাহন উদ্ধারে কাজ চলছে। সকলের সার্বিক সহযোগীতায় দ্রæত সময়ের মধ্যে ফেরি ও যানবাহন উদ্ধার করতে সক্ষম হবো। তীব্র শীতের কারনে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত বুধবার দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ছোট-বড় ৯টি যানবাহন এবং চালক-হেলপারসহ ২১জন ব্যক্তিকে নিয়ে ডুবে যায়। এঘটনায় ২০জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ফেরিটির সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবির নিখোঁজ হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।