সাইফুল ইসলাম : মানিকগঞ্জ পৌরসভার পোড়রা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে সামায়েল হাসদা (৩২) নামের এক এনজিও কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে পোড়রা এলাকার ৮৬/২১ নম্বর বাড়ির ভাড়া বাসার দরজা ভেঙে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সামায়েল রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চান্দলাই গ্রামের সরকার হাসদার ছেলে। তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজিনাস নলেজ (বারসিক)–এর সহযোগী গবেষক হিসেবে ঘিওরের বানিয়াজুরি শাখায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও বারসিক সূত্রে জানা যায়, সামায়েল হাসদা প্রায় ১৬ বছর ধরে বারসিকে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন এবং পোড়রা এলাকায় একাই ভাড়া বাসায় থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মারাত্মক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।
বাড়ির মালিক মো. সুলতান উদ্দিন বলেন, “সামায়েল দুই বছর ধরে বাসা ভাড়া নিয়ে একাই বসবাস করতেন। পূজার ছুটি শেষে সোমবার রাতে বাসায় ফিরে আসেন সামায়েল হাসদা। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাইনি। আজ দুপুরে তাঁর অফিসের সহকর্মীরা এসে দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।”
সামায়েলের সহকর্মী সুবীর কুমার সরকার বলেন, “ছুটি শেষে আজ তাঁর অফিসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল রাত ৯টার দিকে ফোনে কথা হয়, তিনি নবীনগরে আছেন বলেছিলেন। সকালে অফিসে না আসায় ফোন দিলে আর রিসিভ করেননি। দুপুরেও কয়েকবার ফোন দেওয়ার পর বাসায় গিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে বাড়ির মালিককে জানাই এবং পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।”
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।