আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাসার নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনি উইলিয়ামকে মহাকাশে ফেলেই পৃথিবীতে ফিরে এল বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযান। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস স্পেস হারবার মরুভূমিতে অবতরণ করেছে মহাকাশযানটি। এর মাধ্যমে তিন মাসের একটি পরীক্ষামূলক মিশনের সমাপ্তি ঘটলো, যা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তরফে মহাকাশযান অবতরণের ভিডিও লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এতে দেখা যায়, স্টারলাইনার মহাকাশযান পৃথিবীতে সফলভাবে ফিরে আসে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রতি ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে আসে। অবতরণের সময় বায়ুমণ্ডলে থাকাকালীন যানটির হিটশিল্ড চালু রাখা হয়। অবতরণের ৪৫ মিনিট আগে একে একে খোলা হয় ৩টি প্যারাশুট।
গত ৫ জুন বোয়িং স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়েই মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। তাদের গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-আইএসএস। কথা ছিল ৮ দিনের মধ্যে কাজ সেরে পৃথিবীতে ফিরবেন তারা। তবে এরই মাঝে স্টারলাইনারে ত্রুটি ধরা পড়ায় ভেস্তে যায় পরিকল্পনা। দেখা যায় থ্রাস্টার যন্ত্র কাজ করছে না মহাকাশযানের। লিক করছে হিলিয়াম গ্যাস। এই অবস্থায় পৃথিবীতে না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন মহাকাশচারীরা।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের একটি মহাকাশযানে করে পৃথিবীতে ফেরত আনা হবে তাদের।
স্টারলাইনার মহাকাশযান লম্বায় ৫ মিটার ও চওড়ায় ৪ দশমিক ৬ মিটার। অ্যাপোলো মিশনে ব্যবহৃত ক্যাপসুলের চেয়ে বেশ চওড়া মহাকাশযানটিতে সর্বোচ্চ সাতজন বসতে পারেন। এবারের মহাকাশ অভিযানে মূলত মহাকাশচারীদের নতুন পোশাকের (স্পেস স্যুট) কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। কিন্তু সেই পরীক্ষা সফল হওয়ার আগেই ফিরতে হল মহাকাশযানটিকে।
তবে বোয়িং স্টারলাইনার ক্যাপসুলটিকে পুনরুদ্ধার করবে এবং থ্রাস্টার কেন মহাকাশে ব্যর্থ হয়েছে তার তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।