জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ায় পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো চাষ। জমি তৈরি ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। যে সব জমিতে আগাম আলু চাষ হয়েছিল সেগুলোতেও বোরো চাষ শুরু হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হযেছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩ মেট্রিকটন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে। এ পর্যন্ত রোপণ হয়েছে ৪২ হাজার ১১১ হেক্টর জমিতে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত রোপণ চলবে। গত বছরের অর্জন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩০০ হেক্টর।
বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ, শেরপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলা সবচেয়ে বেশি বোরো আবাদ হয়ে থাকে। বাকি উপজেলাগুলোতে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ইতিমধ্যে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। কৃষকেরা একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁদের জমিতে বোরো চাষাবাদ শুরু করেছেন। কৃষকরা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদে খচর বেশি হচ্ছে। সব কিছু দাম বেশি। তাই শ্রমিক খরচসহ অন্যান্য জিসিনপত্রের দামও বেশি। শীতকে উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণে কাজ করছেন কৃষি শ্রমিকেরা। এর মধ্যে অনেক এলাকায় নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মত। জমি তৈরি থেকে শুরু করে চারা ওঠানোর কাজেও নারীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর এলাকার কৃষক রমজান আলী জানান, এ বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি কিছু জমিতে আলু আবাদ করেছিলেন। আলু তোলা শেষ হয়েছে। জমি প্রস্তুত করে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, এবার ডিজেলের দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। সেই সাথে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে গেছে। ফলে গেল বছরের তুলনায় চারা রোপণে খচর বেশি হচ্ছে। ভালো ফসল হলে পুষিয়ে যাবে। আশা করছি ফলন ভালো হবে। দামও ভালো পাবো।
অন্যান্য উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত বছরের মতো এবারও বোরো ধানের ভরা মৌসুমে সার ও সেচকাজের জন্য সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে ইরি-বোরোতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সার, তেল এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত তারা। তারা বলেন, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে সে তুলনায় ধানের ন্যায্য মূল্য পাবো কিনা সন্দেহ রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হযেছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩ মেট্রিকটন। এ পর্যন্ত রোপণ হয়েছে ৪২ হাজার ১১১ হেক্টর জমিতে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত রোপণ চলবে। এবারও বাম্পার ফলন হবে এমন লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধানের বাম্পার ফলন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।