জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ায় ফসলের মাঠে শোভা পাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। জেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠে এখন সরিষা ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা চাষিরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। আর কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বগুড়ায় উন্নত মানের সরিষা চাষ হওয়ার কারণে ফলন বেড়ে যাবে। প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন।
জানা যায়, বগুড়ার উৎপাদিত বিভিন্ন সবজির সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু ধানের দাম না পাওয়ায় কৃষকরা ছুটছেন লাভজনক তেল বীজ সরিষা চাষের দিকে। কম খরচ, কম পরিশ্রম আর অল্প সময়ে সরিষা চাষ করা যায় বলে এটি অত্যন্ত লাভজনক ফসল। প্রতি বিঘা জমি থেকে চলতি মৌসুমে গড়ে ৫ থেকে ৬ মণ হারে সরিষার ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও সরিষা চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। আর সরিষা তোলার পর বোরো ধান রোপণ করা সম্ভব। যার কারণে প্রতি বছরই সরিষার চাষ বাড়ছে। বগুড়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে সরিষার। জেলার পাঁচটি উপজেলা কাহালু, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া ও শেরপুরে বেশি সরিষার আবাদ হয়ে থাকে।
এ ছাড়াও অন্যান্য উপজেলাতেও সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক। সরিষার দামও ভালো পাওয়ার আশা করছেন তারা। চাষিরা বলছেন, সরিষা তেলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে এর দাম এখন বেশ ভালো।
বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে এবারও ভালো আয় হবে সরিষা বিক্রিতে। বগুড়ার কাহালু, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি, শেরপুর, সারিয়াকান্দি, ধুনট, শাজাহানপুর, সোনাতলা ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাঠের পর মাঠ চাষিরা ব্যাপকহারে আবাদ করেছেন সরিষার। রবি মৌসুমে আলুর বদলে উন্নত মানের সরিষার বীজ বপন করেছেন। বপন থেকে মাত্র ৭৫ দিনের এ ফসলটিতে তেমন সেচ দিতে হয় না। বপনের সময় মাটির নিচে সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার দেওয়ার পরই ভালো ফলন পেয়ে থাকেন চাষিরা। এক বিঘা জমি চাষ করতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। সরিষা বিক্রির পর সব খরচ বাদে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হয়।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় এবার ৫৩ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২২ হাজার বিঘা জমি বেশি। ইতোমধ্যে ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।
এ বছর বগুড়ায় ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৮০০ মণ সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭৫ মণ বেশি। বেশি ফলন পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, উন্নত জাত ব্যবহার করা হয়েছে বেশি। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।