Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ‌‌‌‘বহুদিন মাছ-মাংসের ঝোল ছুঁতে পারিনি, বনের শাক দিয়ে ভাত খেয়ে রোজা রাখি’
    খুলনা বিভাগীয় সংবাদ

    ‌‌‌‘বহুদিন মাছ-মাংসের ঝোল ছুঁতে পারিনি, বনের শাক দিয়ে ভাত খেয়ে রোজা রাখি’

    March 27, 20245 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আমি স্ট্রোক করে চার বছর ধরে চলাচল করতে পারি না, আয়-উপার্জন করতে পারি না। মেয়েটা ক্যান্সারের রোগী এবং স্ত্রীর কোমরের হাড় চ্যাপ্টা হয়ে গেছে, হার্টের অসুখ। আমরা তিনজনই অসুস্থ। পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। আমাদের খুব কষ্ট। টাকার অভাবে বাজার করতে পারি না। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়। বহুদিন মাছ-মাংসের ঝোল ছুঁতে পারিনি, খেতে পারিনি। বনের শাক দিয়ে ভাত খেয়ে রোজা রাখি। মুড়ি ও পানি দিয়ে ইফতার করি।’

    Advertisement

    kushtia

    কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কবুরহাট মাদরাসা পাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ ঝুমুর আলী। তিনি স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও মেয়ে কাকলী খাতুনকে নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন।

    সত্তরোর্ধ্ব ঝুমুর আলী বলেন, আমার খাদ্য ও চিকিৎসার খুব কষ্ট। সব কিছুরই কষ্ট। আমার কোনো ছেলে নেই। তিন মেয়ের মধ্যে দুজনের বিয়ে হয়েছে। অভাব অনটনে আমাদের খুব কষ্ট হয়। সবার সাহায্য চাই।

    স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, ঝুমুর আলীর পরিবারের সবাই অসুস্থ। ঝুমুর আলী ও তার স্ত্রী ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। আয় উপার্জন করার মনো কেউ নেই। অর্থের অভাবে খুব কষ্ট করে তারা। ঠিকমতো বাজার করতে পারেন না। চিকিৎসা করাতে পারেন না। অভাব অনটনে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়। তাদের সহযোগিতা করার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

    Advertisement

    প্রতিবেশীরা বলেন, স্ট্রোক করার পর বেশ কয়েক বছর ধরে ঝুমুর আলী চলাচল করতে পারেন না। তার স্ত্রীরও কোমরের হাড়ে সমস্যা, ঠিকমতো হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না, হার্টের রোগে অসুস্থ। মেয়েটা ক্যান্সারে আক্রান্ত। তিন মেয়ের মধ্যে দুজনের বিয়ে হয়েছে। তারাও গরিব। সুস্থ থাকা অবস্থায় ঝুমুর আলী অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে ও দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিজের এক কাঠা জমির ওপর মাটির ঘর ছাড়া কিছুই নেই। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকেন তারা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, বাজার করতে পারেন না। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এই এলাকার সবচেয়ে গরিব মানুষ তারা। সংসার চালানো ও চিকিৎসা করা পরিবারের কাছে অসাধ্য ব্যাপার। সরকার বা বিত্তবানদের কাছে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

    ঝুমুর আলীর স্ত্রী ষাটোর্ধ্ব সুফিয়া বেগম বলেন, আমরা গরিব, অসহায় ও নির্যাতিত মানুষ। ভাঙা ঘরে থাকি। আমার পরিবারের তিনজনই রোগী। আয়-উপার্জন করার মতো কেউ নেই। অর্থের অভাবে ঠিকমতো খাবার জোটে না। বাজার করতে পারি না। অনাহারে অর্ধাহারে দিন যায় আমাদের। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না, ওষুধ কিনতে পারি না। রোজার মাসে এখনো মাছ-মাংস জোটেনি। বনের শাক দিয়ে ভাত খেয়ে সেহরি, মুড়ি-পানি দিয়ে ইফতার করি। আমরা তিনজনই রোজাদার। ভালো খাবার জোটে না। টাকা কোথায় পাব, বাজার করব কী দিয়ে। অসুস্থ স্বামী প্রথম রোজা থেকে মাছ খেতে চাচ্ছে। কিন্তু আজও মাছের ব্যবস্থা আল্লাহ করেনি। বনের শাক দিয়ে ভাত খেয়ে বেঁচে আছি আমরা। আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করার লোক নেই।

    তিনি বলেন, আমার স্বামী যখন সুস্থ ছিল, তখন মাঠে দিনমজুর খেটে সংসার চালাতো। স্ট্রোক করার পর থেকে চার বছর ধরে চলাচল করতে পারে না। আমার কোমরের হাড় ভাঙা ও হার্টের সমস্যা, ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। মেয়েটা ক্যান্সারে আক্রান্ত। টাকার অভাবে কেউই ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারি না, ওষুধ কিনতে পারি না। আমি তিন মাস পরপর ১ হাজার ৫০০ টাকা ভাতা পাই। এই টাকায় সংসার চলে না। ঠিকমতো ওষুধ কিনতে পারি না, বাজার করতে পারি না। আমাদের খুব কষ্ট।

    সুফিয়া বেগম বলেন, আমাদের উঠানে ও পথে কাঁটা দেওয়া হয়েছে। রান্নাঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একটা পানির টিউবওয়েল পুতার ও পায়খানা করার জায়গা নেই। পরের বাড়ি থেকে পানি আনতে হয়। খোলা আকাশের নিচে ইটের ওপর পাতিল বসিয়ে রান্না করতে হচ্ছে। আমরা এসব সমস্যার সমাধান চাই।

    মেয়ে কাকলী খাতুন বলেন, আমি ক্যান্সারের রোগী, আমার আব্বা স্ট্রোক করে চার বছর ধরে চলাচল করতে পারেন না এবং মায়ের মাজার হাড় চ্যাপ্টা, হার্টের অসুখ। পরিবারের সবাই অসুস্থ। আয় রোজগার করতে পারি না। অর্থের অভাবে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকি আমরা। কবে মাছ-মাংস খেয়েছি তা সঠিক মনে নেই। রোজায় একবারও মাছ-মাংস জোটেনি আমাদের। সেহরিতে শাক দিয়ে ভাত খেয়ে রোজা রাখি। মুড়ি পানি খেয়ে ইফতার করি। আমাদের খুব কষ্ট। আমাদের সহযোগিতা করার মতো কেউ নেই।

    তিনি বলেন, আমার কোনো ভাই নেই। আমারা তিন বোন। দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা শ্বশুরবাড়িতে থাকে। তারা মাঝেমধ্যে একটু সাহায্য করে। অর্থের অভাবে আমাদের সব কিছুর কষ্ট হয়। ঠিকমতো খেতে পারি না। অসুস্থ তিনজনের কেউই চিকিৎসা করাতে পারি না, ঠিকমতো ওষুধ খেতে পারি না। আমার ও মায়ের অপারেশন করতে বলেছে ডাক্তার। কিন্তু করাতে পারি না। অনেক কষ্ট করে আত্মীয় -স্বজন ও মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে কয়েকটি কেমো নেওয়া হয়েছে।

    কাকলী খাতুন বলেন, নানান কষ্ট আমাদের। এক কাঠা জমির ওপর মাটির ভাঙাচোরা ঘর। কয়েকমাস আগে আমাদের রান্নাঘর ভেঙে দিয়েছে। রাস্তায় ও উঠানে কাঁটা ফেলে রেখেছে। এতে আমাদের চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে ইটের ওপর পাতিল বসিয়ে রান্না করতে হচ্ছে। বাথরুম ও পানির কষ্ট হচ্ছে। অথচ জমির মালিক মোহাম্মদ আলী আমাদের ওই জায়গাটা দেবে বলে বায়না নিয়েছিল। পরে তার জামাই সামিউলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তার বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলায়। তারা পথ বন্ধ করে দিয়েছে, রান্নাঘর ভেঙে দিয়েছে। কোথাও সমাধান পায়নি। আমরা সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। আমরা অসহায় ও নির্যাতিত।

    ঝুমুর আলী বলেন, আমার সেজো ভাই মোহাম্মদ আলী আমাকে এক কাঠা জমি দেবে বলে বায়না নিয়েছিল। পরে সে তার জামাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তার বাড়ি ভেড়ামারায়। তারা আমার বাড়ির উঠানে ও পথে বরইয়ের কাঁটা দিয়েছে। রান্নাঘর ভেঙে দিয়েছে। তারা আমাদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমাদের কষ্ট কেউ বোঝে না।

    এ বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদিকুর রহমান (ভোটন) বলেন, বৃদ্ধ ঝুমুর আলী স্ট্রোক করে চলাচল করতে পারেন না। তার স্ত্রীও অসুস্থ, মেয়েটার ক্যান্সার। তারা আয়-উপার্জনহীন অবস্থায় কষ্ট করে দিন যাপন করছেন। খুবই অসহায় পরিবারটি।

    জমির বিষয়ে তিনি বলেন, জমির বিষয়টি জানি। সমাধানের জন্য ডাকলে যাব।

    একজনের রোজা কি অন্যজন রাখতে পারবে? যা বলছে ইসলাম

    এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    সূত্র ও ছবি : ঢাকা পোস্ট

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    খুলনা খেয়ে’ গরীব মানুষ ছুঁতে ঝোল দিয়ে’ পারিনি বনের বহুদিন বিভাগীয় ভাত মাছ-মাংসের রাখি রোজা শাক সংবাদ
    Related Posts
    Nolcity

    ছেলেকে গ্রেফতারের পর হার্ট অ্যাটাকে বাবার মৃত্যু!

    June 20, 2025
    Mymensingh Accident

    ময়মনসিংহে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ৬

    June 20, 2025
    Manikganj Sadar Thana

    সৌদি আরবে আটকে রেখে যুবককে নির্যাতন, কারাগারে দম্পতি

    June 20, 2025
    সর্বশেষ খবর
    bf

    Diana Penty Opens Up On 12-Year Relationship With BF Harsh Sagar: ‘In My Head, I’m Married’

    sitaare zameen par box office collection

    Sitaare Zameen Par Box Office Collection Day 1: Aamir Khan’s Emotional Drama Opens at ₹8.77 Crore

    Hotel Viral Video

    Hotel Viral Video: Jaipur Couple’s Public Display Sparks Outrage and Legal Concerns

    Xiaomi Redmi K80 Ultra

    Xiaomi Redmi K80 Ultra Price: Specs, Features & Launch Insights

    Jannat Toha Viral Video

    Jannat Toha Viral Video: Understanding the Hype

    Anand Cinema Hall

    আনন্দ সিনেমা হলের গোপন দরজা দিয়ে তরুণ-তরুণীরা কোথায় যায়?

    messi-mashcherano

    ‘ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় মেসি’

    The-Mind-Reader-AI

    কণ্ঠহীনদের জন্য প্রযুক্তির বিস্ময়, মস্তিষ্ক পাঠ করে কথা বলছে এআই

    নতুন ফোনে সেটিংস

    নতুন ফোনে কোন কোন সেটিংস প্রথমেই পরিবর্তন করা উচিত?

    India-illegally-deporting-Muslim-citizens

    কেন ‘অস্ত্রের মুখে’ মুসলিমদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে ভারত?

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.