কোনো বৈধ প্রার্থী মারা গেলে নির্বাচন স্থগিত হয়। তবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগে কোনো প্রার্থী মারা গেলে সেই আসনের অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন যথানিয়মেই চলে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন৷ তার মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট আসনে ভোট বাতিল হবে কি না, সেই প্রশ্নও অনেকের মাঝে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, কোনো আসনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর কোনো প্রার্থী বৈধ হয়ে মারা গেলে অন্য প্রার্থীরগুলোর মাঝে আর নির্বাচন হয় না৷ এক্ষেত্রে নতুন করে তফসিল দিতে হয়।
তবে আগের বৈধ অন্য প্রার্থীদের নতুন করে আর মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হয় না।
এ বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেবল বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুতেই নির্বাচন বাতিল হয় এবং পুনর্তফসিল দিতে হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে বগুড়া-৭, ফেনী-১ এবং দিনাজপুর-৩ আসন মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি৷ ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে টিপসই দিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলও করেন তিনি। তবে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে তার আসনগুলোতে বিকল্প প্রার্থীও রেখেছিল বিএনপি।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে হবে ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
ফলে প্রার্থী খালেদা জিয়ার মৃত্যু যেহেতু মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগে হয়েছে, সেহেতু নিয়ম অনুসারে উল্লিখিত তিন আসনে যথানিয়মেই নির্বাচন হওয়ার কথা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


