আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রতিটি কোণায় বহু ট্যালেন্টেড মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কেউ কেউ জনপ্রিয়তার আলোয় আসতে পারেন, আবার কেউ কেউ পড়ে থাকেন সেই অদূরে। জনপ্রিয়তার অভাবে ঢাকা পড়ে যায় তাঁর ট্যালেন্ট। সেরকমই একজন প্রতিভাবান কৃষক হলেন বিহারের (bihar) বসবাসকারী বিজয় গিরি। যিনি এক বিশেষ ধরনের ধান চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, গতবছর পশ্চিমবঙ্গের কৃষি মেলায় গিয়ে এক বিশেষ ধান চাষের বিষয়ে জানতে পারেন কৃষক (farmer) বিজয় গিরি। আর সেই বিষয়ে জ্ঞানলাভ করার পরই শুরু হয় তাঁর যাত্রা। প্রথম অবস্থায় এক একর জমি নিয়ে চাষ করা শুরু করার পর, ধীরে ধীরে তাঁর পুরো জমিতেই এখন এই ধানের চাষ করেন বিজয় বাবু।
জানিয়ে রাখি, এই বিশেষ ধরনের ধান চাষ করতে কোনপ্রকার রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। আর সবথেকে বড় একথা হল, এই চাল থেকে ভাত প্রস্তুত হতে খুব বেশি আগুনেরও প্রয়োজন হয় না। প্রথম অবস্থায় চালটিকে ভালো করে ধুয়ে সাধারণ জলে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর, খুব অল্প সময়ের জন্য গ্যাসে বসাতেই চাল ফুটে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।
এই ধরনের চাল প্রথমে শুধুমাত্র আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে মাজুলা দ্বীপে চাষ করা হত। কিন্তু সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় এই চাল নিজের গ্রামেই চাষ করে দেখালেন কৃষক (farmer) বিজয় গিরি। এই চালে যেহেতু কোন রাসায়নিক সারের প্রয়োগ করা হয় না, তাই চাষের ক্ষেত্রে বেশ কম খরচেই তৈরি করা যায় এই চাল। আর বাজারজাত করা হয় ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
চাষের সময় মাত্র ১৫০ থেকে ১৬০ দিনের মধ্যেই এই চাল তৈরি হয়ে যায়। বিজয় গিরি মনে করেন, আগামী দিনেও যদি কৃষকরা (farmer) এই ধরনের চাল বেশি করে চাষ করেন, তাহলে অনেক লাভবান হবেন কৃষকরা। জানা যায়, সুগার ফ্রি এই চালে কার্বোহাইডেট এবং প্রোটিন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।